কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সিএনজি অটোরিকশা শেয়ারে যাত্রী নিলে সমস্যা কোথায়

প্রথম আলো কাজী আলিম-উজ-জামান প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০২২, ২১:৩২

আমার গত কয়েক দিনের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, রাজধানীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া অন্তত ৫০ টাকা বেশি দাবি করছেন চালকেরা। যে ভাড়া ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর তা কমপক্ষে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা চাইছেন তাঁরা। সিএনজির দাম সাম্প্রতিক সময়ে না বাড়ানো সত্ত্বেও তাঁদের এই আবদার। তাঁরা কেবল বাড়তি টাকা চাইছেন না, আদায়ও করে ছাড়ছেন। কোনো যাত্রী যদি কিছু কম বলেন, তাঁরা মুখের ওপর ‘না’ করে দেবেন। সেদিন মুরব্বিমতো এক অটোচালক আমার কাছে ৪০০ টাকা চাইলেন, যে দূরত্বে সচরাচর ২৫০ টাকা দিয়ে যাই। আমি বললাম, ‘চাচা, আপনি ১০০ টাকা কম চাইলেন যে। ভাড়া তো ৫০০ টাকা।’ তিনি কিছুক্ষণ ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে বললেন, ‘ফাতরামি...না। উঠলে ওঠেন।’


আইন অনুযায়ী সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলোর মিটারে চলাচলের কথা। কিন্তু সে বহুকাল আগের কথা যে কিছু চালক মিটারে চলাচল করতেন। টেম্পারিংয়ের নানা অভিযোগ এল। যাত্রীদের অনেকেই তখন মিটারের কাটারের দ্রুত উল্লম্ফনে ভীত হয়ে চুক্তিতে চলে গেলেন। কারণ, উপায় ছিল না। গরম ভাতে বিড়াল জব্দ করার মতো দুষ্টু চালকদের জব্দ করার উপায় ছিল সেটাই। তখনো কোনো কোনো ভদ্রলোকচালক পেছনে ঘাড় ঘুরিয়ে বলতেন, ‘মামা, পুলিশে ধরলে কইয়েন মিটারে যাচ্ছি।’ সে–ও বহুকাল আগের কথা। এখন ১০০ জন চালকের মধ্যে ১০০ জনই কন্ট্রাক্টে যান! এখন সিএনজিচালিত অটোরিকশা মিটারে যাচ্ছে কি না, পুলিশের আর তা দেখার সময় নেই। তাদের আরও কাজ আছে!


নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের আর বসবাসের উপায় নেই এ শহরে। এসব মানুষের মধ্যে অনেকেই আছেন, যাঁরা বাসে না উঠে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যেতে পছন্দ করেন। কারণ, এ শহরে অনেক রুটেই মোটামুটি মানসম্মত বাসও নেই, বেশির ভাগ বাসের সিট ও কাভার নোংরা, তেলচিটচিটে; বছরে একবার এসব ধোয়া হয় কি না সন্দেহ। এ নিয়ে কিছু বলতে গেলে চালকের সহকারীর দন্তবিকশিত তাচ্ছিল্যের হাসি ছাড়া আর কিছুই উপহার পাওয়া যায় না। এসব বাস সারা পথে যাত্রী টোকাতে টোকাতে গন্তব্যে যায়, পারলে বাসা থেকেও যাত্রী ধরে নিয়ে আসে। আধা ঘণ্টার মধ্যে যে দূরত্বে পৌঁছানোর কথা, তা পৌঁছায় এক থেকে দেড় ঘণ্টায়। কিন্তু সাধারণ মানুষের সময়ের তো মূল্য আছে। ঘড়ির কাঁটায় চোখ রেখেই তাদের কাজ করতে হয়। এ অবস্থায় একটু স্বস্তিতে আর ঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্যই অনেকেই সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে বেছে নেন, জীবন–জীবিকার বাড়তি খরচের সঙ্গে সমঝোতা করে, প্রয়োজনের অনেক কিছু ছাড় দিয়ে হলেও।আচ্ছা, বলুন তো এই অটোরিকশাগুলো যদি শেয়ারে বা ভাগাভাগি করে যাত্রী নেয়, সমস্যা কোথায়। একটি অটোরিকশায় তিনজন বসতে পারে ‘আরামসে’। ভাড়া যদি ৩০০ টাকা হয়, তবে একজনের ভাগে পড়ে ১০০ টাকা। যেখানে মানিব্যাগ থেকে ৩০০ টাকা বেরিয়ে যেত, সেখানে ১০০ টাকা, তিন ভাগের এক ভাগ। সমস্যা কোথায়? আর যাঁদের নগদ টাকার গোছা খাটের নিচে, তাকিয়ার মধ্যে, বালিশের তলায় জমাট হয়ে আছে, ব্যাংকে কেবল ডিজিট বাড়ছেই, তিনি একা যান, রিজার্ভ করে যান, কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু তাঁর কারণে আরেকজন সাফার করবে কেন?


অনেকেই আছেন, যাঁরা নিরাপত্তার কথা বলবেন। এ কথার মধ্যে যুক্তিও আছে। কিন্তু এ শহরে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কে? তেমন কোনো সংস্থা আছে কি? কিছুদিন আগে সাভারে পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানীদের বহনকারী বাসকে বিপরীত লেন থেকে ডিভাইডার ভেঙে আরেকটি বাসের ধাক্কা দেওয়ার ভিডিওটি আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে। অথবা অতি সম্প্রতি উত্তরায় বউভাতের অনুষ্ঠান থেকে সুখী চেহারা নিয়ে ফেরা একটি পরিবারের সদস্যদের প্রাইভেট কারের ওপর গার্ডার ভেঙে পড়ার দৃশ্যটি। অতএব নিরাপত্তার বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া যাক মহামান্য পুলিশ ভাইদের ওপর। তাঁরা যতটুকুন সম্ভব দেখবেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও