কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কাজের মঙ্গাকে গুরুত্ব দিন

জাগো নিউজ ২৪ ড. মো. ফখরুল ইসলাম প্রকাশিত: ০৭ আগস্ট ২০২২, ১০:০৮

অধুনা ‘মঙ্গা’ শব্দটি বললেই ভাবা হয় অন্যকিছু। ধরে নেয়া হয় সেখানে রাজনীতি অথবা অপপ্রচার শুরু হয়ে গেছে। মঙ্গা শুধু ভাত বা খাদ্যের অভাবের জন্য নাও হতে পারে। যিনি যেভাবে ভাবুন না কেন- বড় মানুষের বড় বড় জিনিসের জন্য মঙ্গা আর খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষের মঙ্গায় মৌলিক পার্থক্য আছে।


মঙ্গার বাংলা অর্থ সংকট বা বড় অভাব। মূলত প্রায় সবার ঘরের ধান-চাল তথা খাবার নিঃশেষ হলে এবং খাদ্য কেনার সামর্থ্য না থাকলে যে সংকট সৃষ্টি হয় সে থেকে চারদিকে হাহাকার তৈরি হলে সেটাই মঙ্গা নামে পরিচিত। “মঙ্গা একটি বিদেশি শব্দ। হিন্দি ও উর্দুতে বলা হয় ম্যোঙ্গা। দেশের কুমিল্লা ও নোয়াখালি অঞ্চলে উচ্চারিত হয় মাঙ্গা। উত্তরাঞ্চলের রংপুরে একে বলা হয় মঙ্গা। এর আভিধানিক অর্থ উচ্চ মূল্য, এমন মূল্য যা সর্ব সাধারণের নাগালের বাইরে।


বলা হয়-কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে মঙ্গার চিত্র পাল্টে গেছে। তবে দেশের চরাঞ্চল ও দরিদ্র জেলাগুলোতে বিপুল সংখ্যক ভূমিহীন মানুষের কর্মসংস্থান না থাকায় মৌসুমী বেকারত্ম ও বেঁচে থাকার অবলম্বন সংকুচিত হওয়ায় মঙ্গার চিত্র চেখে পড়ে। যেমন, কুড়িগ্রাম জেলায় দারিদ্র্যের হার ৭০.৮ শতাংশ (বিবিএস)।


বিআইডিএস-এর মতে, কুড়িগ্রামে অতিদরিদ্রের হার ৫৩.২ শতাংশ (প্রথম আলো জুলাই ৩০, ২০২২)। খাদ্যের মঙ্গা কমে গেলেও প্রতিবছর বন্যা আর নদীভাঙনের কারণে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করতে হয় লক্ষ লক্ষ মানুষকে। অভাব বিমোচনের বিভিন্ন প্রকল্পে যাদের অনেকের নেই কোন সংযোগ ও অংশগ্রহণ।


চিলমারীর জোড়গাছ বাজারের ব্রহ্মপুত্রের চরে কাজ করে একজন দিনমজুর জমির আল থেকে হেলেঞ্চা শাক তুলে বাড়ি ফিরছেন। সম্প্রতি তিনি একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিকের প্রথম পাতায় হেলেঞ্চার বোঝাসহ সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। তার এলাকায় বন্যার পর খাদ্য ও কাজের দারুণ অভাব দেখা দিয়েছে। দৈনিক মজুরিভিত্তিক কাজ না থাকলে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় তাদের আর কি-ই বা করার আছে? একজন বা দু’জন তো নয়। যেখানে অতিদরিদ্র মানুষের হার ৫৩ শতাংশ। সেখানে কাজের মঙ্গা শ্রমিকদের জন্যে। ওদের গ্রামে কাজ নেই। শহুরে ভাসমান মানুষ ও বস্তিবাসীদের কথা বাদ দিলাম। আর আর দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ৪০ ভাগের বেশি। এদের চাকুরি নেই। সুতরাং কাজের মঙ্গা গ্রাম-শহর সব জায়গায়।


আমাদের চারদিকে চোখ মেললেই কতকিছুর প্রাচুর্য্য দেখি আবার চোখ মেলা বা বন্ধ করা অবস্থাতে অনুভব করি নানা অভাব। তবে যারা অভাবকে অভাব বলে কপটতা করেন বা স্বীকার করেন না- তাদের কথা আলাদা। কারণ, কিছু মানুষের অভাববোধ নেই। যেসব মানুষের অভাব বোধ নেই তারা অতিমানব অথবা পেটে পাথর বেঁধে কায়ক্লেশে বেঁচে থাকা সুখী মানুষের নামান্তর।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও