গুরু-হেনস্তা ও শিক্ষক হত্যা: সমাধান আছে তো!
কলেজ অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতোর মালা পরানো হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে পৌরনীতি ও সুশাসন বিষয়ের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে। প্রথম ঘটনাটি ১৮ জুনের, দ্বিতীয় ঘটনাটি ২৫ জুনের। মাত্র ৭ দিনের ব্যবধানে ঘটে গেলো ভয়ংকর দুটি ঘটনা। একজন শিক্ষকের গলায় উঠলো জুতার মালা, আর আরেকজনকে হত্যা করা হলো স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে। কয়েক মাস আগে বিজ্ঞানের শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে বিজ্ঞান ও ধর্ম নিয়ে আলোচনা করার সময়ে ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করার দায়ে কারাগারে যেতে হয়েছিল। অথবা ষড়যন্ত্র করে পরিকল্পিতভাবে হৃদয় মণ্ডলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। এ তিনটি ঘটনার কেন্দ্রে যারা আছেন, দুর্ঘটনাক্রমে তাদের সকলেই শিক্ষক এবং কাকতালীয়ভাবে সকলেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ!
ঘটনাগুলো কি বার্তা দিচ্ছে? দায়টি কার? শিক্ষকদের, শিক্ষার্থীদের, ধর্মান্ধ নির্বোধ জনগোষ্ঠীর? সমাজ, রাষ্ট্র, শিক্ষা ও সংস্কৃতির? নাকি সকল কালে জনগোষ্ঠীর একটি অংশ, অথবা কোনও কোনও সময় জনগোষ্ঠীর বৃহত্তর অংশের মধ্যে সংস্কারজাত, বা ধর্মান্ধতাজাত কিছু আদিম অন্ধকার থাকে এবং প্রজন্ম পরম্পরায় মস্তিষ্কের মূল প্রকোষ্ঠে থেকেই যায় সেই অন্ধকার? তাই যদি না হবে, তাহলে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে আমরা যে ধর্মান্ধতা ও হিন্দু-মুসলিমের ধর্মভিত্তিক ঘৃণাকে জয় করে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করলাম, সেই বাংলাদেশ কেন আবার ধর্মান্ধতার অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে?
- ট্যাগ:
- মতামত
- অবমাননা
- শিক্ষক নির্যাতন