দীপালি রানী সাহার কান্না ও মাশরাফির অচেনা নড়াইল
রামুর পর নাসিরনগর। নাসিরনগরের পর সাঁথিয়া। সাঁথিয়ার পর কুমিল্লা। কুমিল্লার পর নড়াইল। একের এক সাম্প্রদায়িক হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আর আমরা, এই দেশের সরকার, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মনে হয় তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি। আক্রান্ত মানুষগুলো দুঃখে কাতর হচ্ছেন; কিন্তু কিছু বলতে পারছেন না? তাদের একটাই আকুতি। কেন আমরা বারবার হামলার শিকার হব? প্রতিকার পাব না। অপরাধ ঘটবে অথচ অপরাধের শাস্তি হবে না। এটা কেমন কথা?
নড়াইলের ধর্মাবমাননার করে যে তরুণ ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন, পুলিশ গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রথম আলোর খবরে বলা হয়; শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে খুলনা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গতকাল রাতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। আকাশ দিঘলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী অশোক সাহার ছেলে। তিনি স্থানীয় নবগঙ্গা ডিগ্রি কলেজের স্নাতকের ছাত্র। তার আগে পুলিশ তাঁর বাবাকেও থানায় নিয়ে গিয়েছিল পরিস্থিতি শান্ত করতে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের দাবি, পরিস্থিতি শান্তই ছিল। নড়াইলের পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও লোহাগড়া উপজেলার ইউএনও সারা রাত সেখানে অবস্থান করছিলেন। পাহারায় মোতায়েন ছিলেন র্যাব ও পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্যও। এত কিছুর পরও কীভাবে লোহাগড়ার দিঘলিয়ার হিন্দুদের বাড়িঘরে কীভাবে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটল? তাহলে কি যাঁরা হামলা করেছেন, তাঁরা পুলিশ ও প্রশাসনের চেয়েও শক্তিশালী?