কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মানুষ দাঁড়াবে কোথায়?

সমকাল শুভ কিবরিয়া প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০২২, ১২:০২

আমাদের এখানে জেলা-উপজেলা শহর গড়ে ওঠার কায়দা গোটা বাংলাদেশেই প্রায় এক। আলোর নিচেই অন্ধকার। ঝলমলে কিছু বিল্ডিং, কিছু চকচকে স্থাপনা পেরোলেই দেখা যাবে জীর্ণ-শীর্ণ অপরিকল্পিত অবয়ব। একটা উপজেলা সদরের এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধ পেরোলেই বোঝা যাবে বাংলাদেশের বৈষম্যের চেহারা। কয়েক বছর ধরে বেশ কয়েকটি উপজেলা সদরের অলিগলিতে ঘোরার সুযোগ হয়েছে। বিশেষ করে করোনাকালে ভোরে হাঁটতে বেরোলেই দেখতাম উপজেলা সদর ছাড়িয়ে গা-ঘেঁষা গ্রামগুলোতে অল্পবয়সী শিশুরা মোবাইল হাতে কখনও একা, কখনও দলবেঁধে বসে কী যেন দেখছে গভীর মনোযোগের সঙ্গে। বাড়ির বাইরে একটু গোপন জায়গা, গাছগাছালির আড়ালে এই শিশুরা মোবাইল ফোনে কী দেখে, তা কখনও ঠিক ঠাওর করতে পারিনি। শুনেছি, ওরা গেম খেলে।


কেউ বলেন, কখনও কখনও অবারিত পর্নও তাদের হাতে পৌঁছে যায় এই আয়োজনে। তখন স্কুল বন্ধ। শিশুদের হাতে অফুরন্ত সময়। তারাই বা করবে কী?
কিন্তু দেখতাম মাদ্রাসাগুলো খোলা। সেখানে করোনাকালে ভালোভাবেই ক্লাস চলেছে। বাংলাদেশে কী প্রণোদনায় মাদ্রাসা শিক্ষার বিকাশ এত বড় করে ঘটল, সেটা ভিন্ন আলোচনার বিষয়। কিন্তু করোনাকালে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা যে বেড়েছে, সেটা নিজ চোখে অনুভব করতাম আর ভাবতাম, একটা গবেষণা হওয়া দরকার এ বিষয়ে। কেননা, সমাজের প্রবণতাগুলো যদি আমরা বুঝতে চাই, তবে সে বিষয়ে পেশাদার গবেষণা খুব দরকার।


একটা ভালো গবেষণা যে তথ্য ও ইঙ্গিত দেয়, সেটাকে ধরেই রাষ্ট্র বা সমাজের এগিয়ে চলা সহজ হয়। হালে একটা গবেষণার ফলাফল পত্রিকা মারফত নজরে এলো।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্টের (আইইডি) উদ্যোগে 'করোনা মহামারির কারণে স্কুল বন্ধের সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা :প্রাথমিক শিক্ষা পরিস্থিতি' শীর্ষক গবেষণাটি করা হয়। এ গবেষণার জন্য ৬১টি গ্রাম ও ৩৯টি শহর এলাকায় ১১ হাজার ৯৯৯টি পরিবারের ওপর জরিপ চালানো হয়। এতে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ৪ হাজার ৬৮৯ শিক্ষার্থী এবং ৩৯৮ শিক্ষক (প্রাথমিক ও মাদ্রাসা) অংশ নেন। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ছিল ৬২ দশমিক ৭ এবং প্রাথমিকে ৯৬ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২১ সালে তা কমে হয় ৪৯ দশমিক ৬ এবং ৯৩ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ করোনার সময়ে (২০২১ সালে) প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমেছে ১৩ দশমিক ১ শতাংশ এবং প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তির হার কমেছে ২ দশমিক ৬ শতাংশ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও