কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন

কালের কণ্ঠ ডা. মুনতাসীর মারুফ প্রকাশিত: ০৭ জুলাই ২০২২, ১১:২১

মার্কিন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান গ্যালাপের সাম্প্রতিক প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক আবেগ প্রতিবেদন ২০২২’ অনুযায়ী, আগের বছরের চেয়ে ২০২১ সালে বেশি নেতিবাচক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছে বিশ্বের মানুষ। এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জন্য প্রাসঙ্গিক ও ভাবনার যে বিষয় তা হচ্ছে ইতিবাচক ও নেতিবাচক—উভয় অভিজ্ঞতারই মাত্রা বিবেচনায় সারা বিশ্বে সবচেয়ে নাজুক অবস্থানে থাকা ১০টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম রয়েছে (সূত্র : কালের কণ্ঠ, ০৫.০৭.২০২২)। ১২২টি দেশের অধিবাসীদের ওপর পরিচালিত এই জরিপে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা বলতে বোঝানো হয়েছে মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতা বা দুঃখবোধ, রাগ-ক্ষোভ ও শারীরিক কষ্ট। এ বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে সপ্তম।


কেবল আফগানিস্তান, লেবানন, ইরাক, সিয়েরা লিওন, জর্দান ও তুরস্ক—এই ছয় দেশের বাসিন্দারা বাংলাদেশিদের চেয়ে বেশি নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়ার আগের দিন ব্যক্তির পর্যাপ্ত বিশ্রাম, অন্যের কাছ থেকে সম্মানপ্রাপ্তি, হাসিমুখ, আনন্দ উপভোগ, উদ্দীপক কিছু শেখা বা করা প্রভৃতিকে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ইতিবাচকতায় ১২২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৪। জর্দান, তিউনিশিয়া, নেপাল, মিসর, তুরস্ক, লেবানন ও আফগানিস্তান—এই সাত দেশের বাসিন্দারা ইতিবাচক অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে।


জরিপ অনুযায়ী, আবেগগত দিক থেকে বিশ্বে কভিড অতিমারির দ্বিতীয় বছরটি ছিল প্রথম বছরের চেয়েও কঠিন। এবং এর প্রভাবে বৈশ্বিক নেতিবাচক অভিজ্ঞতার স্কোরটি এযাবৎকালের রেকর্ড। সামগ্রিকভাবে কভিড অতিমারির পাশাপাশি সারা বিশ্বে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিগ্রহ ও অর্থনৈতিক মন্দা ও মুদ্রাস্ফীতিকে নেতিবাচক আবেগ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে গ্যালাপের ২০০৬ সাল থেকে পরিচালিত বছরভিত্তিক এই জরিপের ফলের ধারা দেখলে বোঝা যায়, বিশ্বে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা বা অসুখী বোধের প্রবণতা এক দশক ধরে ক্রমেই বাড়ছে।


অনেক কারণেই মানুষ অসুখী বোধ করতে পারে। তবে এই অসুখী বোধের বৈশ্বিক প্রবণতার পেছনে পাঁচটি বিষয়কে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন জরিপের গবেষকরা। সেগুলো হচ্ছে—দারিদ্র্য, ক্ষুধা, নেতিবাচক সামাজিক পরিবেশ, একাকিত্ব এবং প্রশান্তিদায়ক কাজের অভাব।


আমাদের আবেগ, আমাদের ভাবনা, সিদ্ধান্ত, পরিকল্পনা ও কাজকে প্রভাবিত করে। একই ঘটনাকে আমরা আমাদের ভিন্ন ভিন্ন আবেগের কারণে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে অনুধাবন করি, সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেই এবং প্রতিক্রিয়া দেখাই। নেতিবাচক আবেগের কারণে নেওয়া সিদ্ধান্ত বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অপরিণামদর্শী, ক্ষতিকর বা ভুল হতে দেখা যায়। এ ছাড়া নেতিবাচক আবেগের বহিঃপ্রকাশ নেতিবাচকতাকেই উসকে দেয় এবং ছড়িয়ে দেয়। যা মানুষের অসুখী-প্রবণতাকে বাড়িয়ে তোলে। বাড়ায় ঘৃণা, সহিংসতা, উগ্রবাদ। নেতিবাচক আবেগ এবং নিজেকে অসুখী মনে করার প্রবণতা শুধু ব্যক্তিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, সামগ্রিকভাবে তা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মক্ষমতা, উৎপাদনশীলতা ও উন্নয়নকে ব্যাহত করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও