সাম্প্রতিক দুর্যোগ সম্পর্কে কিছু প্রাসঙ্গিক কথা
অনাদিকাল থেকেই নানা রকম দুর্যোগের মুখোমুখি হয়ে আসছে মানুষ। এসব দুর্যোগ মোকাবেলা এবং এর অভিজ্ঞতার আলোকে দুর্যোগকালীন সম্ভাব্য সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠার প্রচেষ্টাই হচ্ছে মানুষের টিকে থাকার ইতিহাস। দুর্যোগ সাধারণত দুই রকমের হয়। একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্যটি মানবসৃষ্ট।
প্রকৃতিতে সৃষ্টি হওয়া দ্রুত ও নিয়ন্ত্রণহীন দুর্ঘটনাগুলো হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। আর মানুষের নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণে সমাজে যে বিপর্যয় নেমে আসে সেটা মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ। দুটির মধ্যেই আন্তঃসম্পর্ক আছে। কারণ কিছু প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাতে মানুষের আচার-আচরণের প্রভাব রয়েছে। যেমন—জলবায়ু পরিবর্তন, বায়ুদুষণ ইত্যাদি। মানুষের তৈরি দুর্যোগ হচ্ছে অপরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাট ও বাঁধ তৈরি এবং অস্ত্র ও প্রযুক্তির ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহার ইত্যাদি।
দুর্যোগ যেভাবেই হোক, সবচেয়ে বড় কথা হলো মানুষই এর কেন্দ্রে থাকে। তাই দুর্যোগের কারণ চিহ্নিত করা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগের সঙ্গে অভিযোজন করার ক্ষেত্রে সমাজ ও রাষ্ট্র এবং এর প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব রয়েছে। নদীর পানি যখন বাড়তে থাকে, তখন সম্ভাব্য বন্যা মোকাবেলার প্রস্তুতি সংশ্লিষ্টদের গ্রহণ করতে হয়। সাধারণত পানি যখন আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে, তখন এই সুযোগ থাকে। কিন্তু ফ্ল্যাশ ফ্লাড বা হঠাৎ বন্যায় সে সুযোগটা থাকে না। তবে তাত্ক্ষণিক দুর্যোগকেও দুই দিক থেকে বিবেচনা করতে হয় যে এটি আসলেই হঠাৎ করেই চলে এসেছে, নাকি জানা-বোঝার ঘাটতি বা অন্য কোনো কারণ রয়েছে।