উপাত্ত সুরক্ষা আইনের ভালো-মন্দ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন দেশে এর অপব্যবহারও কম হচ্ছে না। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এমনকি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এর অপব্যবহার হচ্ছে। এই অপব্যবহার রোধে আন্তর্জাতিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও আইন হচ্ছে।
এসব আইন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করে এর সুষ্ঠু-সঠিক ব্যবহার কতটুকু নিশ্চিত করতে পারছে সে প্রশ্ন রয়েছে। ভালো-মন্দের বিচারে ওইসব আইন কতটুকু গ্রহণযোগ্য সেটি আরেক প্রশ্ন। আইনের ভালো-মন্দের একাডেমিক ডিসকোর্সের বাইরেও রয়েছে এর প্রায়োগিক দিক। প্রায়োগিক ভালো-মন্দ নির্ভর করে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ও অপরাপর অংশীজনের ভূমিকার ওপর। আমাদের দেশে আইনের সমালোচনার একটি বড় জায়গা হচ্ছে এর প্রয়োগ নিয়ে।
২০০৬ সালে সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন করেছে। এই আইন নিয়ে প্রথম থেকেই সমালোচনা ছিল, এখনও আছে। সে সমালোচনা যে অমূলক নয় তার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। ১৬ বছর পর আজ একটাই প্রশ্ন–ওই আইনের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আইনগত ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে কি?
একই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এ আইনের মাধ্যমে ডিজিটাল হয়রানি আরও এক ধাপ রেড়েছে। সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি সাংবাদিক হয়রানির এক নতুন ‘রেকর্ড’ সৃষ্টি হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে।