সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি : যে জলে আগুন জ্বলে
আগুন লাগতেই পারে, দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। কিন্তু আমাদের দায়িত্ব হলো, আগুন যাতে না লাগতে পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা। লাগলেও যাতে ক্ষয়ক্ষতি-প্রাণহানি কম হয়, তা নিশ্চিত করা।
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। প্রযুক্তিতে, বিজ্ঞানে মানব সভ্যতা এখন অনেক এগিয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু দুর্যোগ বা দুর্ঘটনার সামনে এখনো মানুষকে অসহায় মনে হয়।
এই যেমন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার ১৫ ঘণ্টা পর, যখন এই লেখা লিখছি, তখনো আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের প্রাণান্তকর চেষ্টা সত্ত্বেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।
যাচ্ছে না, কারণ আগুন যেখানে লেগেছে, সেই ডিপোর অনেক কন্টেইনারে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ছিল। মারাত্মক সেই রাসায়নিক আগুনের ভয়াবহতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের সামনে সাধারণ পানি নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের অসহায় মনে হচ্ছিল। পানি দিয়ে এই রাসায়নিকের আগুন নেভানো যাবে না জেনেও ফায়ার সার্ভিসের সত্যিকারের বীর কর্মীরা আগুনে ঝাঁপ দিয়েছে।