উত্থাপিত গণমাধ্যমকর্মী আইন কি সরকারের জন্য শাঁখের করাত?
জাতীয় সংসদে গত ২৮ মার্চ উত্থাপিত হয় গণমাধ্যমকর্মী আইন। উপস্থাপিত এ আইন নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া চলমান। অনেক সাংবাদিক এটিকে কালো আইন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। দৈনিক সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশও (নোয়াব) বলছে, এই আইন পাস হলে সাংবাদিকদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে।
তারা গত ২৪ এপ্রিলে এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রস্তাবিত আইনটির ৫৪টি ধারার মধ্যে ৩৭টি ধারাই সাংবাদিকবান্ধব নয়। নোয়াব এ আইনটি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে এই আইনের দরকার নেই বলে দাবি করেছে। তারা উত্থাপিত আইনের ‘বিরোধ নিষ্পত্তি, গণমাধ্যম আদালত, গণমাধ্যম আপিল আদালত’-এর তীব্র বিরোধিতা করেছে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, কোনও সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই আদালত প্রসঙ্গে কোনও বিরোধিতা করা হয়নি। তবে কি সংসদে উত্থাপিত এই আইন সরকারের জন্য শাঁখের করাত হয়ে দাঁড়ালো?