দুর্নীতির বিষয় কি পরলোকের হাতে ছাড়ব?

www.ajkerpatrika.com মামুনুর রশীদ প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২২, ১৭:৩৯

পৃথিবী বিখ্যাত লেখক লিও তলস্তয় লিখেছিলেন, একজন মানুষের জন্য কতটুকু জমি দরকার? এত জমি মানুষের যে নিজে পায়ে হেঁটে তা প্রদক্ষিণ করতে পারে না। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, কোনো মানুষের প্রয়োজন তার হাতের মাপের সাড়ে তিন হাত। অথচ মানুষ সাড়ে তিন হাত তো নয়ই, সাড়ে তিন লাখ হাতেও খুশি নয় এবং এই যে অখুশি জনগোষ্ঠী, এরা দরিদ্র নয়, অধিকাংশই উচ্চ শিক্ষিত।


সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া পি কে হালদার ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে গ্র্যাজুয়েট এবং পরবর্তীকালে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাকরি ছেড়ে ব্যাংকে প্রবেশ করেন। যেহেতু মেধাবী, তাই টাকাপয়সার খোঁজখবর, ফন্দিফিকির কোথায় কী আছে, সেগুলো খুঁজে বের করা তাঁর পক্ষে সহজ হয়ে যায়। যাঁরা প্রথম থেকেই ব্যাংকে অফিসার হিসেবে চাকরিতে ঢুকছেন, তাঁদের অধিকাংশই এমন একটা সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান যে ব্যাংকের টাকা সাধারণত তাঁদের প্রলুব্ধ করে না। পোস্ট অফিসের কর্মচারীরা খুব অল্প টাকা বেতন পান, কিন্তু দায়িত্ব অনেক বড়। পাকিস্তান আমলে যে লোকটি বাইশ টাকা বেতন পেতেন, তাঁর হাতে হাজার হাজার টাকার বিলিবণ্টন হতো। সারা ডাক বিভাগে হয়তো দু-চারটে ঘটনা ঘটত, কিন্তু ডাক বিভাগের সুনাম অক্ষুণ্ন থেকেছে। উন্নত দেশগুলোতে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো মার খায়, বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত লুটপাটের কারণে নয়, তার মধ্যে অন্য অনেক কারণ নিহিত থাকে। ব্যাংকে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের সামনে অনেক টাকা কিন্তু তাঁরা টাকাকে টাকা মনে করেন না এবং এই টাকা যে তাঁর পকেটে ঢোকানো যাবে না, এই শিক্ষাটা পেয়ে যান প্রথম থেকেই। পি কে হালদারের মতো লোকেরা টাকাকে টাকা মনে করেছেন এবং এই টাকা যে নিজের পকেটে ঢুকিয়ে সেই টাকা বিদেশে পাঠিয়ে যে পার পাওয়া যাবে, এ ব্যাপারেও নিশ্চিত হয়েছেন। কারণ অতীতে এ রকম পার পাওয়ার অনেক ইতিহাস আছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও