তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা তৈরির উদ্যোগ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার আরেকটি উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এ জন্য তথ্য ও প্রযুক্তি (আইটি) প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে। প্রশিক্ষণের আগেই কাজের নিশ্চয়তার জন্য শিল্প এবং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরিসহ সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।
এ উদ্দেশ্যে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এর মাধ্যমে দেশের ১৪টি জেলায় তথ্য ও প্রযুক্তি (আইটি) প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। দেশের সাতটি বিভাগের দুটি করে জেলায় সেন্টারগুলো নির্মাণ করা হবে। 'শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার' নামে প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ১১৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পটি চলতি অর্থবছরের অননুমোদিত নতুন প্রকল্পের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। কমিশন বলেছে, এ ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা আইসিটি খাতে দক্ষ কর্মী পাবেন। ক্ষুদ্র পর্যায়ে উদ্যোক্তাও তৈরি হবে দেশে। এর মাধ্যমে দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা সহজ হবে। স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশে এ ধরনের দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি সম্ভব হবে। অনুমোদন পেলেই প্রকল্পের নির্মাণ শুরু হওয়ার কথা। শেষ হবে ২০২৬ সালে।
হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, নাটোরে এ ধরনের একটি প্রকল্পের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। ওই প্রকল্পের সফলতা দেখে ১৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার করা হচ্ছে। পরবর্তী ধাপে ৩২টি জেলায় এবং শেষ ধাপে দেশের সব জেলায় একটি করে আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার করা হবে।
জানতে চাইলে হাইটেক পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী এস এম আল-মামুন সমকালকে বলেন, অভিজ্ঞতা বলছে, আইটিভিত্তিক জনশক্তি তৈরির পাশাপাশি ছোট উদ্যোক্তা এবং ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হয়েছে আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের কার্যক্রম। কম খরচে ইনকিউবেশন সুবিধা পাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। সব ধরনের অবকাঠামো সুবিধা রয়েছে কেন্দ্রটিতে। এখানকার প্রশিক্ষিতরা আবার নতুন প্রশিক্ষিত জনশক্তি তৈরি করছে। শুধু স্বাবলম্বীই নয়, আর্থিকভাবে তারা এখন অত্যন্ত ভালো অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছে।