কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এই ঈদ হোক সম্প্রীতি ও আনন্দের

কালের কণ্ঠ আবদুল মান্নান প্রকাশিত: ০১ মে ২০২২, ০৯:৪৩

একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এবার সারা বিশ্বে চাঁদ দেখা যাওয়া সাপেক্ষে ৩ মে মুসলমানদের ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসীদের যে কয়েকটি বড় উৎসব আছে তার মধ্যে ঈদুল ফিতর অন্যতম। ৩০ বা ২৯ দিন রমজান বা রোজা শেষে এই দিনটি বছরে একবার আসে। যেহেতু দিনটি হিজরি সন অনুযায়ী ধার্য করা হয়, সেহেতু মুসলমানদের কোন উৎসব ঠিক কোন দিন উত্যাপিত হবে তা আগে থেকে অনেক সময় জানা যায় না। হিজরি সন গোনা হয় সূর্য অস্ত থেকে পরবর্তী দিনের সূর্য অস্ত পর্যন্ত। অর্থাৎ হিজরি সন চান্দ্রমাসভিত্তিক। রমজান শুরু হয় হিজরি বর্ষের রমজান মাসে। এবার ঈদটা অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এসেছে। গত দুই বছর সারা বিশ্বে কভিডের কারণে মানুষ কোনো ঈদ স্বাভাবিকভাবে করতে পারেনি।


সাধারণত সকালে ঈদের জামাত বা নামাজ উন্মুক্ত স্থানে অথবা মসজিদে আদায় করা হয়। যে তিনটি নামাজে আজান দিতে হয় না তার মধ্যে দুই ঈদের নামাজ ছাড়াও আছে জানাজা। অবশ্য জানাজা হচ্ছে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া। গত দুই বছর অনেকে ঈদের নামাজ বাড়িতেই পড়েছেন। রমজানের সময় প্রতিবছর কয়েক লাখ মানুষ সৌদি আরবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন উমরাহ পালন করতে। এই দুই বছর সীমিতসংখ্যক মানুষ তা পালন করতে পেরেছেন। অন্য দেশ থেকে উমরাহ বা হজ পালনও নিষিদ্ধ ছিল। আর্থিক দিক দিয়ে দেশটি বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এখন তা অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।  


গত দুই বছরে শুধু যে কভিডের কারণে বিশ্বের ক্ষতি হয়েছে তা নয়, এই সময়ে যুদ্ধ বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার কারণেও বিশ্বের শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে। বাংলাদেশেও বিভিন্ন সময়ে এই সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপের কারণে তা বিস্তার লাভ করতে পারেনি। এই মুহূর্তে ভারতের কোনো কোনো শহরে বা রাজ্যে ক্ষমতাসীন দলের উসকানিতে এই সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এমন ঘটতেই থাকলে তা তার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারে।


কোনো ধর্মই হিংসা-বিদ্বেষ সমর্থন করে না। কিন্তু যুগে যুগে এই ধর্মকে ব্যবহার করে দেশে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে দুই ঈদের শুরু কখন হয়েছিল তা সঠিকভাবে জানা না গেলেও এটি মোটামুটি জানা যায় হজরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার পর ৬২২ খ্রিস্টাব্দে (তখন থেকে হিজরি সনের গণনা শুরু হয়)। ইসলামের রাসুল দেখতে পান সেখানকার বাসিন্দারা নানা সময়ে নানা ধরনের উৎসব উদযাপন বা পালন করে। এই সময় মদিনায় জনসংখ্যার বেশির ভাগই ছিল অমুসলিম। মুসলমানের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। আর সমাজ ছিল গোত্র বিভাজিত। গোত্রে গোত্রে সংঘাত লেগেই থাকত। হজরত মুহাম্মদ (সা.) মদিনায় আসার পর তিনি প্রথমে যে বিষয়টির ওপর নজর দিলেন তা হলো মদিনার বাসিন্দাদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি স্থাপন করা। রচিত হলো মদিনা সনদ, যাকে বলা হয় বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধান, যাতে জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে মদিনার সব বাসিন্দার মধ্যে শান্তি স্থাপনের কথা বলা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও