কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সাম্রাজ্যবাদী শক্তি শান্তির পথে হাঁটবে না

কালের কণ্ঠ ইউক্রেন গাজীউল হাসান খান প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২২, ১০:১৯

তৎকালীন জার আলেকজান্ডারের রাজত্বকালে নেপোলিয়নের রাশিয়া আক্রমণের প্রেক্ষাপটে কিংবদন্তি ঔপন্যাসিক লিও তলস্তয় রচনা করেছিলেন তাঁর বিশ্বখ্যাত পুস্তক ‘দ্য ওয়ার অ্যান্ড পিস’। সেটি কি ছিল একটি উপন্যাস, না ইতিহাস, একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিরাজমান রুশ সমাজের চিত্র, না অবস্থানগতভাবে মানুষের মূল্যবোধের খতিয়ান—সেই বিতর্কে যাওয়ার ক্ষমতা বা অবকাশ কোনোটিই আমার নেই। ফরাসি সমরনায়ক নেপোলিয়ন রাশিয়া আক্রমণ করেছিলেন ১৮১২ সালে। দীর্ঘদিন চলেছিল সেই যুদ্ধ।


সেই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে তাঁর রচনার একটি জায়গায় তলস্তয় বলেছিলেন, ‘সব যোদ্ধার মধ্যে সবচেয়ে বিস্ময়কর হচ্ছে দুটি বিষয়—সময় ও ধৈর্য। ’ বিশ্বব্যাপী প্রভাব-প্রতিপত্তি কিংবা সাম্রাজ্য বিস্তারের সেই কৌশল এখন আর নেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে আর্থ-রাজনৈতিক কিংবা সামরিক দিক থেকে আধিপত্য বিস্তারের রণনীতি ও রণকৌশলের ক্ষেত্রে। নেপোলিয়নের সেই সমরাভিযানের প্রায় ১৩৫ বছর পর অর্থাৎ ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ ও দার্শনিক আর্নল্ড টয়েনবি রচনা করেছেন ‘সিভিলাইজেশন অন ট্রায়াল’। এতে তিনি তখনই অত্যন্ত স্পষ্ট করে লিখেছেন, ‘আধুনিক পশ্চিমা শক্তির আবির্ভাব হয়েছে একটি নির্দিষ্ট মিশন নিয়ে, সমগ্র পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ হাতে নেওয়ার জন্য। পুরো পৃথিবীকে তারা তাদের লক্ষ্য স্থির করবে। ’ হয়েছেও তাই। আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো একটি সমঝোতা হওয়া সত্ত্বেও বাল্টিক অঞ্চল পেরিয়ে ক্রমেই পূর্ব ইউরোপের দিকে (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত অঞ্চল) অগ্রসর হচ্ছে। সে কারণেই জর্জিয়া ও ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল বিভিন্ন দ্বন্দ্ব ও সংঘাত, যা আজ এক পারমাণবিক যুদ্ধ কিংবা এমনকি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধেও রূপান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায়ও ইউক্রেন তার ‘যুদ্ধ, না শান্তি’ এই দোদুল্যমানতা কাটিয়ে উঠতে পারছে না। ফলে ক্রমে ক্রমে ইউক্রেনে দৃশ্যতই এক ‘প্রক্সি ওয়ার’ শুরু হয়েছে, যার পেছনে রয়েছে পশ্চিমা সামরিক শক্তি ন্যাটো।


রুশ-ইউক্রেন সংঘর্ষের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের উদ্যোগ নিয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। কিন্তু এর মধ্যে অনুষ্ঠিত দুটি বৈঠকে গৃহীত খসড়া প্রস্তাব তৈরির পর তা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির কাছে পাঠানো হয়েছিল। জেলেনস্কি সেই প্রস্তাবে সম্মত হয়েও বারবার সেখান থেকে সরে যান। এতে কোনো প্রস্তাবই বাস্তবায়নের সুযোগ পাচ্ছে না। ফলে যুদ্ধবিরতি হাতের নাগালে এসেও ফসকে যাচ্ছে বারবার এবং দুই পক্ষই বিভিন্ন রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে শুরু করেছে একে অন্যের লক্ষ্যবস্তুর ওপর।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও