কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে করণীয়

কালের কণ্ঠ ড. নিয়াজ আহম্মেদ প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২২, ০৯:৫৫

আমাদের প্রাচীন সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম পরিবার। পরিবারে আমাদের জন্ম, বেড়ে ওঠা এবং পরিবারেই আমাদের মৃত্যু। সামাজিকীকরণের প্রধান মাধ্যম পরিবার। পরিবারের বাইরে আমরা কোনো কিছু চিন্তা করতে পারি না।


এক কথায় আমাদের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু আমাদের পরিবার। কিন্তু সেই পরিবারে যখন সহিংস আচরণ ঘটে তখন শুধু পরিবারই নয়, সমাজও অস্থির হয়ে ওঠে। রাষ্ট্রও কোনোভাবে বাদ যায় না। সবাইকে কমবেশি প্রভাবিত করে এবং ভাবিয়ে তোলে। কেননা এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী। যখন সহিংস আচরণ মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ইতি টানে এবং তিনি যদি কোনো পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হন, তখন কষ্টকে আরো বাড়িয়ে দেয়। নির্ভরশীলতার জন্ম দেয়। সহিংস আচরণের রেশ অন্য সদস্যদের ওপর ছড়িয়ে পড়ে। জন্ম নিতে পারে আরো একটি সহিংস আচরণের। পরিবারে আর্থিক অনটন, মান-অভিমান, রাগ, ক্ষোভ ইত্যাদি অনেক কিছু থাকবে। কিন্তু সেগুলোকে মোকাবেলা ও মিটমাট করার মধ্য দিয়েই পরিবারে শান্তি বজায় রাখতে হবে।


সহিংস আচরণের মধ্য দিয়ে যদি উপরোক্ত অসংগতিগুলো দূর করতে চাই তার ফলাফল কোনো ভালো লক্ষণ নয়। বরং সমযোজন ও সামঞ্জস্য বিধানের মাধ্যমে পরিবারের যাবতীয় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। পরিবারের সব সদস্য নিজেরা বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারে। অন্যথায় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে সাহায্য-সহযোগিতা চাইতে পারে। বিকল্প হিসেবে যখন কোনো কাজই না হয় তখন আইনের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু সব কিছু নিজের হাতে তুলে নিয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার বশে কিংবা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে যদি হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ করা হয়, তবে তা সবার জন্য ভয়াবহ পরিণতি। কেন আমরা অসহিষ্ণু আচরণ করছি। নিজের কাছে নিজে প্রশ্ন করতে হবে এবং উত্তর নিজের থেকেই বের করতে হবে। আমাদের সহিংসতা পরিহার করে সহযোগিতা ও সমঝোতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে এবং মিলেমিশে থাকার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। তবেই একেকটি পরিবার হয়ে উঠবে আনন্দের চারণভূমি।


পারিবারিক সহিংসতার মাত্রা আমাদের সমাজে ক্রমান্বয়ে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। গত তিন মাসে পারিবারিক কলহের জেরে ৬৬ জন নারী ও ৩১টি শিশু খুন হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮ জন নারী স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ এসেছে। হয়েছে মামলাও। নিহতদের ১৪ জনের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এ সময়ে ২৪ জন নারী আত্মহত্যাও করেছেন। বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনটি কালের কণ্ঠ প্রকাশ করেছে। সহিংস আচরণ এমন পর্যায়ে পৌঁঁছে গেছে যেখানে আপন দুই ভাইয়ের অন্য ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার রাতে নরসিংদীর রায়পুরায় বাড়ির আঙিনায় গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে এক ভাইকে হত্যা করে অন্য দুই ভাই। তাদের মধ্যে কোনো একটি বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও