আবারও পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এবারের ঘটনাস্থল লালমনিরহাট সদর। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের হাতে আটকের প্রায় দেড় ঘণ্টা পর রবিউল ইসলাম খান নামের এক যুবকের মৃত্যু ঘটে। রবিউলের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য এসেছে। লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম বলেছেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে লালমনিরহাট সদর উপজেলার একটি ইউনিয়নে জুয়ার আসর বসেছিল।
এ খবর পেয়ে সেখানে অভিযানে যায় এসআই হালিমুর রহমানের নেতৃত্বে সদর থানার একটি দল। পুলিশ ধাওয়া করে রবিউলসহ দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পথে গাড়িতেই রবিউল অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু ঘটে। ওদিকে প্রত্যক্ষদর্শী ও রবিউলের স্বজনরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, রবিউল জুয়ার আসরে ছিলেন না।
পুলিশের উপস্থিতিতে সবাই পালিয়ে গেলেও রবিউল রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাকে আটক করে পুলিশ। তিনি জুয়া খেলায় জড়িত নন দাবি করে পুলিশ ভ্যানে উঠতে আপত্তি জানালে তাকে লাথি মেরে ও মারধর করে ভ্যানে তোলা হয়। এতে রবিউল জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।