তিন মাসে নিহত ১৩০, অধরাই থাকছে নিরাপদ সড়ক

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০২২, ১১:৫৯

গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিন দিন প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে মহাসড়ক। ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের ৪৪০ কিলোমিটার এলাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিচ্ছেন পথচারী, যাত্রী, যানবহনের চালক ও হেলপার। আবার অনেকে আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছে।


গত ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার হাসিনা পাড়ায় পিকআপচাপায় ছয় সহোদরের মৃত্যুর ঘটনা দেশবাসীকে কাঁদিয়েছে।


এর পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি ফটিকছড়ি বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন ফেলাগাজী এলাকায় স্কুলের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার ময়নামতী তুতবাগান এলাকায় ট্রাকচাপায় নিহত হয় আরো পাঁচজন। ২২ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী ইউনিয়নের একটি আঞ্চলিক সড়কে প্রাইভেট কার ডোবায় পড়ে নিহত হয় পাঁচজন। কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৪৪০ কিলোমিটার এই মহাসড়কে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত—তিন মাসে ১২২টি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ১৩০ জন নিহত ও ১১৮ জন আহত হয়।


হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের আওতায় থাকা বিভিন্ন ফাঁড়ি ও থানার দেওয়া তথ্য মতে, ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬১৬টি দুর্ঘটনায় ৬০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয় ৭৮৮ জন। আবার ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা এক হাজার ৫০০। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয় এক হাজার ৫৬২ জন, আহত হয় দুই হাজার ৭৩ জন।  


পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ২০২১ সালে। ২০২০ সালে দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল যেখানে ১৮৭টি, সেখানে ২০২১ সালে ৪৪১টি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণহানি ঘটে এক হাজার ৫৬২ জনের।


হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ দাবি করেন, ‘হাইওয়ে পুলিশ নিরাপদ মহাসড়কের লক্ষ্যে কাজ করছে। তারা এখানকার ৪৪০ কিলোমিটার মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করেছে। ঢাকার কাঁচপুর থেকে চট্টগ্রাম সিটিগেট পর্যন্ত সড়কে নিজেদের উদ্যোগে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছে। যানবাহনের গতিরোধে রাডার স্পিডগান সংযোজন করা হয়েছে। ’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও