কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


টিপ পরছোস ক্যান : ব্যক্তি স্বাধীনতা কোথায়?

আমার সংগ্রহে যত টিপ আছে তা এক জীবনেও পরে শেষ করা যাবে না। আমার টিপ ছাড়া কপাল কেউ দেখেছে কি না সন্দেহ আছে। জীবনে প্রথম কপালে টিপ দিয়ে দিল আমার মা। বড়দা বেশি সাজগোজ কখনোই পছন্দ করতেন না। কিন্তু টিপের বেলায় ছিলেন উদার। তিনি বলতেন চোখে কাজল আর কপালে টিপ এটাই বাঙালি মেয়েদের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়।

টিপ পরি আমি আমার মতো করে। কখনো একটা, কখনো দুই রঙের দুটো, আবার ছোট বড় মিলিয়ে তিনটাও হয়ে যায়। টিপ নিয়ে রাজনীতি বা ধর্ম আসলো কীভাবে? একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, মেয়েদের মাথায় হিজাব নামক মধ্যপ্রাচ্যের সংস্কৃতির বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হলো।

এই সামাজিক, সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ের সুযোগ নিয়ে কাজটা খুব সুচারুভাবে সম্পন্ন করে ফেলল তারা। তারা কারা? যদি জানতে চান তবে আমার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা বললে কিছুটা আঁচ করতে পারবেন।

তখন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলছে। হ্যাঁ-না ভোট হচ্ছে। নজরুল সংগীত গাইবার জন্য আমার বিটিভিতে ডাক আসলো। আমি সবসময় বাসা থেকেই তৈরি হয়ে যাই। সেদিনও এর ব্যতিক্রম ছিল না। শাড়ির সাথে সবসময়ই আমি বড় টিপ পরি।

অনুষ্ঠানটি আগে ধারণ করা হবে, পরে সম্প্রচার করবে। তো আমি ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম। হঠাৎ প্যানেল থেকে একজন দৌড়ে এসে বলল, ‘আপা টিপ পরে গান গাওয়া যাবে না উপর থেকে স্যার বলে দিয়েছেন।’ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘কোন স্যার?’

সে যা বলল তাতে আমার সারা শরীর রাগে থরথর করে কাঁপতে লাগলো। প্যানেলে প্রযোজক যিনি বসে আছেন তার কিছু করার নেই কারণ তার ঘাড়ের উপর দাঁড়িয়ে আছে আর্মির লোকজন। মূলত তারাই এইসব আদেশ দিচ্ছে। এসব শুনে আমি লোকটাকে বললাম, ‘যে টিপ পরতে বারণ করেছে তাকে আসতে বলুন। কারণ আমি এই বিটিভির জন্মলগ্ন থেকে অনুষ্ঠান করি।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন