কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

দিশাহারা বিএনপি ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক সার্কাস

কালের কণ্ঠ আবদুল মান্নান প্রকাশিত: ০৩ এপ্রিল ২০২২, ০৯:১২

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২০০৭ সাল থেকে ক্ষমতার বাইরে। ২০০৭ আর ২০০৮-এ অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে ছিল একটি অসাংবিধানিক সেনা সমর্থিত বেসামরিক গোষ্ঠী, যারা এসেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে। সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ হওয়ার কথা ৯০ দিন এবং এই সময়ের মধ্যে তাদের একমাত্র কাজ একটি সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিজ থেকেই বাতিল হয়ে যাওয়া। তবে ২০০৭ সালে গঠিত সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা ছাড়া আর সব কিছুই করেছে।


ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতাদের কারাবন্দি করা, কোনো কিছুই বাদ যায়নি। শেষতক একটি গণবিক্ষোভের মুখে তারা ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। সেই নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভূমিধস বিজয় অর্জন করে। ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সেই থেকে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে। যে দলটির জন্ম ক্ষমতায় থেকে, সেই দলটির এত দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে থাকা দলের নেতাকর্মীদের কাছে শুধু অসহনীয়ই নয়, চরম হতাশাব্যঞ্জক। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জেনারেল জিয়া ক্ষমতা দখল করে সেনা গোয়েন্দা সংস্থার কতিপয় সদস্যকে ব্যবহার করে বিএনপি গঠন করেছিলেন। দলটির স্বাভাবিক জন্ম হয়নি। বর্তমানে দলটি অনেকটা দিশাহারা ও বিপর্যস্ত। আবার এরই মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ২০১২ সালে সংবিধানে সন্নিবেশিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিয়েছেন। এ বিষয়ে রায়ে মহামান্য আদালত পরিষ্কার মন্তব্য করেছেন, একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় এক মিনিটের জন্যও রাষ্ট্রের ক্ষমতা কোনো অনির্বাচিত দল বা ব্যক্তির কাছে যাওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। অন্য দুটি পৃথক মামলায় সব সময়ের জন্য দেশে সামরিক আইন জারি বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে।


বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় উচ্চ আদালতে দণ্ডিত হয়েছেন। শেখ হাসিনার বদান্যে তিনি বর্তমানে নিজ গৃহে অবস্থান করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁকে আবার কারাগারে যেতে হতে পারে। তাঁর ছেলে তারেক রহমান মানি লন্ডারিং থেকে শুরু করে অস্ত্র চোরাচালান ও হত্যা মামলায় দণ্ডিত হয়ে বর্তমানে লন্ডনে পলাতক জীবন যাপন করছেন। তিনি আবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন। তিনি কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন। ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। তিনি সেখান থেকে ভার্চুয়ালি অহি পাঠিয়ে দেশে দল পরিচালনা করেন। দেশে নিত্যদিন দলের কয়েকজন নেতা মূলত জাতীয় প্রেস ক্লাবে ও এর সামনের রাস্তায় বা মাঝেমধ্যে কোনো জেলায় গিয়ে নিধিরাম সর্দারের মতো ২০২৩ বা ২০২৪-এ অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গলাবাজি করেন। সঙ্গে থাকে কিছু ওয়ানম্যান পার্টির নেতা। এরই মধ্যে বিএনপির একজন বড়মাপের স্বঘোষিত উপদেষ্টা লন্ডনে গিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে মোলাকাত করেছেন। জেনে নিয়েছেন আগামী নির্বাচনে কী উপায়ে বর্তমান সরকারকে উত্খাত করা যায়। বলেছেন, বাংলাদেশে ‘গণতন্ত্রকে হত্যা’ করার জন্য ভারত দায়ী। এমনটা যদি হয়, তারেক রহমান হয়তো স্বপ্ন দেখছেন তিনি দেশে ফিরে ছলে-বলে-কৌশলে সব মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং মাকে বানাবেন রাষ্ট্রপতি।  

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও