রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার পরিণতি কী

দেশ রূপান্তর ম্যাক্সিমিলিয়ান হেস প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২২, ১৭:১১

ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের বেপরোয়া আক্রমণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পশ্চিমারা ক্রেমলিনের ওপর তাদের সম্ভাব্য সবচেয়ে বড় নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রয়োগ করে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজার থেকে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এর ফলে রাশিয়া চলতি হিসাবে রেকর্ড উদ্বৃত্ত দেখার মাত্র এক মাস পরই খেলাপি হওয়ার দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। আগে নিষেধাজ্ঞা (বা আরও সঠিকভাবে বললে তা আরোপের হুমকি) মূলত একটি প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করত। বস্তুত, পুতিন তার আগ্রাসন শুরু করার আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালেই পশ্চিমারা রাশিয়ার ওপর বর্তমানের কঠোর নিষেধাজ্ঞার রূপরেখা দিয়েছিল। ওইসব হুমকির লক্ষ্য ছিল একটি ধ্বংসাত্মক সামরিক সংঘাতের সম্ভাবনা ছাড়াই পুতিনকে দেখানো যে, তিনি ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করলে বড় ধরনের মূল্য চুকাতে হবে। হুমকিগুলো এখন সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে পুতিন আপাতদৃষ্টিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, ইউক্রেনীয়দের বশীভূত করার জন্য তিনি রাশিয়ার জনগণকে কষ্ট দিতেও প্রস্তুত।


প্রকৃতপক্ষে, পুতিনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নিবৃত্ত করা যায়নি। কঠোর নিষেধাজ্ঞার স্পষ্ট হুমকির পরও তিনি ইউক্রেন আক্রমণ করেছেন। এ কাজে পুতিন এমন মাত্রার সংকল্প দেখিয়েছেন যা খোদ রাশিয়ার প্রভাবশালী ধনকুবের মহলসহ প্রায় সব পর্যবেক্ষকের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে। সম্প্রতি জেপি মরগান ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, রাশিয়ার মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ১২ শতাংশ সংকুচিত হবে। ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স ১৫ শতাংশ সংকোচনের বিষয়ে সতর্ক করেছে। আর রাশিয়ান প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যাকাডেমি অব ন্যাশনাল ইকোনমি অ্যান্ড পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জঅঘঊচঅ) অধ্যাপক ইলিয়া মাতভিভের মতে, ৩০ শতাংশ পর্যন্ত পতন অসম্ভব নয়। রাশিয়ার মানুষের জীবনযাত্রার মান ১৯৯০ এর দশকের শেষ পর্যায়ের স্তরে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এবং এখনো আরও কমতে পারে। রাশিয়ার অর্থনীতি ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত। তবুও জবরদস্ত সেনা লাইনের আড়ালে তার দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ে যেতে থাকলেও পুতিন ঠিকই হামলায় অনড় রয়েছেন। এর পরেও অবশ্য পশ্চিমের অনেকেই এখনো নিষেধাজ্ঞাকে কার্যকর প্রতিবন্ধক হিসেবে দেখে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ উপমন্ত্রী ওয়ালি অ্যাডেইমো সিএনবিসি’র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সে-রকমই ইঙ্গিত দেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন ‘পুতিনের সামনে দুটি বিকল্প রয়েছে  ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়া বা উত্তেজনা কমানো। যতক্ষণ হামলা অব্যাহত থাকবে ততক্ষণ নিষেধাজ্ঞাও চলবে।’ অ্যাডেইমো বাড়তি পদক্ষেপ হিসেবে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছিলেন। বাণিজ্য ও নৌচলাচলের অবরোধের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তিনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সেরকমই অনুরোধ করেছিলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও