মানুষের ভোগান্তি কমাতে হবে

www.ajkerpatrika.com সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২২, ০৯:৫০

মানুষের ভোগান্তি কমানোর জন্য ডিজিটাল ব্যবস্থা সহায়ক হবে বলে মনে করা হলেও বাস্তবে সরকারি কোনো দপ্তরে সেবা নিতে গিয়ে কিংবা জরুরি কাজ সারতে গিয়ে মানুষের দুর্ভোগ কী কমেছে? কমেনি যে তার উদাহরণ হিসেবে ২৩ মার্চ বুধবার আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অফিসে শত শত মানুষের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করা যায়।


নতুন সার্ভার চালু ও পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের জন্য পাঁচ দিন বন্ধ ছিল ই-পাসপোর্ট সেবা। বুধবার থেকে আবার এ সেবা শুরু হয়েছে। কয়েক দিন বন্ধের পর সেবাগ্রহীতার চাপ বেশি হওয়াই স্বাভাবিক। এটা পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের বিবেচনায় ছিল বলে মনে হয় না। বুথের সংখ্যা বাড়িয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে আবেদন ফরম জমা নেওয়ার ব্যবস্থা না করে উল্টো অসংখ্য মানুষকে লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখে কোনো রকম ঘোষণা না দিয়ে বেলা ৩টার দিকে আবেদন ফরম জমা নেওয়া বন্ধ করে দিয়ে কর্মকর্তারা চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।


কেউ অফিস ছুটি নিয়ে, কেউ ক্লাস কামাই করে, কেউবা একটু দেরিতে অফিসে গিয়ে কাজে যোগ দেবেন ভেবে পাসপোর্ট অফিসে গিয়েছিলেন। কিন্তু পাসপোর্ট অফিসে সেবার মানের কোনো উন্নতি না হওয়ায় তাঁরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন অথচ কাউন্টারের ভেতরে যিনি দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি কাউকে কিছু না বলে উধাও।


মানুষ কাউন্টারের সামনে জড়ো হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও কর্তৃপক্ষের কোনো হেলদোল লক্ষ করা যায়নি।


পাসপোর্ট অফিসের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ নতুন কিছু নয়। সেখানে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যের কথাও কারও অজানা নয়। ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার ফলে মানুষের পাসপোর্ট পাওয়া সহজ ও হয়রানিমুক্ত হবে বলে আশা করা হলেও তা হয়নি। পাসপোর্ট অফিসের বাইরে দালালেরা এখনো সক্রিয়। বাড়তি টাকা খরচ করলে তারা সহজেই ফরম জমা দেওয়া থেকে শুরু করে পাসপোর্ট দ্রুত পাওয়ার ব্যবস্থাও করে দেয়।  

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও