এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে বন্ধ রেলের কাজ
ঢাকা-টঙ্গীর পথে তৃতীয় ও চতুর্থ রেললাইন নির্মাণ কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিমানবন্দর থেকে চিটাগাং রোড পর্যন্ত নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। বিদ্যমান রেললাইনের পাশে ও ওপর দিয়ে মহাখালী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলায় বন্ধ রয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ রেললাইন নির্মাণ।
ভারতীয় ঋণে (এলওসি) ২০১২ সালে শুরু হওয়া এক হাজার ১০৬ কোটি টাকার তৃতীয় ও চতুর্থ রেললাইন এবং টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছরের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে ২০২৪ সালের জুনে শেষ হবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। রেল সচিব ড. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে ফেব্রুয়ারিতে প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটির (পিএসসি) সভায় বলা হয়েছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হওয়ার আগে রেললাইন সম্প্রাসরণের কাজ শুরু সম্ভব নয়।
ফলে রেলওয়ে আগামী জুনে তৃতীয় ও চতুর্থ লাইনের কাজ শেষ করতে চাইলেও বাস্তবতা হচ্ছে ২০২৪ সালের জুনের আগে তা কার্যত অসম্ভব।
শুধু এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নয়, তৃতীয় ও চতুর্থ রেললাইন প্রকল্পে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সিটি করপোরেশনের রাস্তাও। খিলগাঁও-মালিবাগ রাস্তার কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় রেললাইন সম্প্রাসরণের পর্যাপ্ত জমি নেই। সেনানিবাসের সীমানাপ্রাচীর ভেঙে এক থেকে দেড় মিটার ভেতরে নিতে হবে। সেনানিবাসের জমি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দেয় রেলওয়ে। তবে এখনও জমি ব্যবহারের অনুমতি পায়নি। সে কারণে ওই অংশে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।
বনানীতে রেললাইনের পাশে এবং বিদ্যমান রেললাইনগুলোর মাঝে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলার নির্মাণকাজ চলছে। এই কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ শুরু করা যাচ্ছে না। বিমানবন্দর স্টেশন এলাকায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সঙ্গে জমি নিয়ে টানাপোড়েন রয়েছে রেলের। রেলস্টেশনের পার্শ্ববর্তী এলাকার জমি নিজের বলে দাবি করলেও ভূমি রেকর্ড হয়েছে বেবিচকের নামে। সেই জমি নিয়ে জটিলতা নিষ্পত্তি না হওয়ায় কাজ করা যাচ্ছে না বলে পিএসসি সভায় জানান প্রকল্প পরিচালক।