You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ফিরে দেখা স্বাধীনতার ইতিহাস

‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’। দুটি মাত্র শব্দ, একটি ভাস্কর্য। কিন্তু মনে করিয়ে দেয় বাংলাদেশের অনেক বছরের দুঃসহ বঞ্চনা আর যন্ত্রণার ইতিহাস। জয়দেবপুর চৌরাস্তায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধের স্মৃতি বহন করছে এ ভাস্কর্য।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মাইলফলক সৃষ্টিকারী এ ‘হঠাৎ যুদ্ধ’ সমগ্র জাতির জন্য একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা। মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই একাত্তরের ১৯ মার্চ সংঘটিত হয় একটি খণ্ডযুদ্ধ গাজীপুরে (তখনকার জয়দেবপুরে) পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় জনতার। ঘটনাটি ঘটেছিল হঠাৎ করে। জয়দেবপুরে ২য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করার জন্য সব বাঙালি সেনাকে অস্ত্র সমর্পণ করার আদেশ দেওয়ার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার তার রেজিমেন্ট নিয়ে জয়দেবপুর পৌঁছেন।

খবর পেয়ে বঙ্গবন্ধুর তাৎক্ষণিক নির্দেশে (বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী) আ ক ম মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে স্থানীয় জনতা জয়দেবপুরের কাছে বাংলার ঐতিহ্যময়ী বংশদণ্ড হাতে নিয়ে কঠিন প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। ফলে মুক্তিযুদ্ধের সূচনার আগেই মুক্তিযুদ্ধের যাত্রা শুরু এখান থেকে। ভাস্কর্যটির সামনে দিয়ে আসা-যাওয়ার পথে এটিকে দেখলেই মনে পড়ে যায় বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের অনেক ঘটনা।

১৯৪৭ সালে যখন ব্রিটিশ-শাসিত ভারত বিভক্ত হয়ে ‘ভারত’ আর ‘পাকিস্তান’ নামক দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়, তখনই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়ে যায়। এক হাজার মাইলের দূরত্বের দুটি ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত পাকিস্তানে উর্দুভাষী এক ভিনজাতি বাংলার বুকে জুলুম আর শোষণের জগদ্দল পাথর চাপিয়ে দিয়ে বাঙালির মুখের ভাষাসহ সব স্বকীয়তা কেড়ে নিয়ে শুরু করে বাঙালি জাতিকে নিঃস্ব করে দেওয়ার অশুভ পাঁয়তারা। তৎপরতা শুরু হয় পূর্ব পাকিস্তানের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার। দিন যায়, মাস যায়, বছর পার হয়।

পাকিস্তানি শাসকদের শোষণের মাত্রা বাড়তেই থাকে। ২৩ বছর ধরে তারা লুণ্ঠন করে এ দেশের অর্জিত সম্পদ, বাধাগ্রস্ত করে সাংস্কৃতিক বিকাশ, ‘তাহজীব-তমদ্দুন’ রক্ষার নামে ঠেলে দিতে উদ্যত হয় বাঙালি জাতিকে কুসংস্কারের গভীর গর্তে, ধর্মান্ধতার গোঁড়ামিতে পুরো জাতিকে আচ্ছন্ন করার প্রয়াসে গ্রহণ করে বিভিন্ন পন্থা, শিক্ষাব্যবস্থায় ঢুকিয়ে দেয় কূপমণ্ডূকতা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কালাকানুনের বেড়াজালে আবদ্ধ করে সৃষ্টি করে মুক্তবুদ্ধিচর্চার পরিপন্থি এক শ্বাসরুদ্ধ পরিবেশ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন