![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2022-03%252F4c50d90a-9c62-457a-9258-80f14c830c50%252Fshimul_bagan_palo.PNG%3Frect%3D0%252C57%252C833%252C437%26w%3D1200%26ar%3D40%253A21%26auto%3Dformat%252Ccompress%26ogImage%3Dtrue%26mode%3Dcrop%26overlay%3Dhttps%253A%252F%252Fimages.prothomalo.com%252Fprothomalo-bangla%252F2022-01%252F5a36c819-05a2-4bfb-ac50-57dd67355acb%252FBanner_7814X143.jpg%26overlay_position%3Dbottom%26overlay_width_pct%3D1)
যে সিলেটের সৌন্দর্য পর্যটকেরা দেখেনি এখনও
ছুটিছাটায় পর্যটকদের ভিড়ে এখন উপচে পড়ে সিলেট। রবীন্দ্রকথিত সেই ‘নির্বাসিতা’, ‘সুন্দরী শ্রীভূমি’এখন আর নির্বাসিতা নয়। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এখনো অক্ষুণ্ন। একসময় জাফলং, মাধবকুণ্ড আর চা-বাগানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্যই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে এসেছেন পর্যটকেরা। এখন দর্শনীয় স্থানের অভাব নেই। বিছনাকান্দি, রাতারগুল, লালাখাল, সাদা পাথর, টাঙ্গুয়ার হাওর, সিরাজ লেক, শিমুল বাগান—আরও কত কী। প্রকৃতির আপন খেয়ালেই গড়ে উঠেছে এসব জায়গা। এর জন্য কোনো ধরনের প্রকল্প-পরিকল্পনার দরকার পড়েনি। আসার আগে এসব জায়গার কথা জেনে নেন বলেই শহরে বিরতি নিয়ে কাঙ্ক্ষিত স্থান দেখার জন্য ছুটে যান পর্যটকেরা।
আগে থেকে যে জায়গাগুলোর কথা জানেন, সেখানেই যে যেতে চাইবেন পর্যটকেরা, তা তো স্বাভাবিক। কিন্তু কথা হলো, এসব পরিচিত স্থানের বাইরে সিলেটের ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রত্ন-পুরাকীর্তি, স্থাপত্য, ভূপ্রকৃতি এবং নিজস্ব সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে পর্যটকদের জানানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কি না? এ ছাড়া পর্যটকেরা প্রতিদিন যেসব স্থানে যাচ্ছেন, সেখানেও তাদের যাতায়াত ও অবস্থান নিরাপদ ও স্বস্তিকর কি না, তা নিয়ে কি আজও যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে?
পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য ফরাসিরা কত কিছু যে করে, তার বর্ণনা রয়েছে সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘একটি সত্যি ভ্রমণকাহিনি’ বইয়ে, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র ‘হাউ ডাজ ওয়ান কুক বিনস’ বইয়েও রয়েছে এক বিড়ম্বিত পর্যটকের কথা। অন্যরা যেখানে পর্যটকদের নিয়ে বাড়াবাড়ি করে, সে ক্ষেত্রে বাঙালিদের অবস্থান বিপরীত মেরুতে। অনেক কিছু সহজেই পেয়ে যাই বলে তা কাজে না লাগিয়ে আমরা আরও ধ্বংস করি। অথচ উপযুক্ত পরিকল্পনার সাহায্যে দর্শনীয় স্থানকে ঐতিহ্য ও পরিবেশের অনুকূলে রেখে নানা রকম উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব। ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসংবলিত যেসব স্থান এখনো অচিহ্নিত, সেগুলোকে পরিচিত করে প্রচার চালালে পর্যটকদের যেমন আকৃষ্ট করা সম্ভব, তেমনই স্থানীয় ইতিহাসের প্রাথমিক কাজগুলোও এতে সম্পাদিত হয়ে যায়। পাশাপাশি দরকার এই অঞ্চলের লোকশিল্প ও লোকসাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলো সংরক্ষণের প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণ করা।