অবহেলায় কমছে গ্যাস উৎপাদন
রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) উৎপাদন সক্ষমতা ছিল দিনে প্রায় ১৫ কোটি ঘনফুট। উৎপাদন কমতে কমতে এটি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে দিনে উৎপাদন হচ্ছে গড়ে সাড়ে আট কোটি ঘনফুট।
শুধু সিলেট গ্যাস ফিল্ড নয়, রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি গ্যাস উৎপাদন কোম্পানির মধ্যে দুটিতেই উৎপাদন কমেছে। এই পরিস্থিতির জন্য মূলত নতুন গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনের দিকে সরকারের অবহেলাকে দায়ী করেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, দেশে গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর চেয়ে সরকারের মনোযোগ আমদানির দিকে।
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) বলছে, দেশে একসময় দিনে ৩০০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাস উৎপাদিত হয়েছে। বর্তমানে উৎপাদিত হচ্ছে ২৩০ কোটি ঘনফুটের কিছু বেশি। যদিও ২৭৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস তোলার সক্ষমতা ছিল এক বছর আগেও। এখন উৎপাদন বাড়াতে সব গ্যাসক্ষেত্রেই প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।
দেশে এখন গ্যাস উৎপাদন করছে দুটি বহুজাতিক ও তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি। এর মধ্যে সিলেট গ্যাস ফিল্ড গ্যাস উৎপাদন করছে চারটি গ্যাসক্ষেত্র থেকে। এ কোম্পানির অধীনে থাকা হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদন বন্ধ আছে। অন্যতম সম্ভাবনাময় কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্রের সাতটি কূপের মধ্যে বর্তমানে শুধু দুটি কূপ থেকে উৎপাদিত হচ্ছে। গ্যাসক্ষেত্রটির উৎপাদনসক্ষমতা ছিল দিনে প্রায় ৭ কোটি ঘনফুট, এখন তা কমে হয়েছে তিন কোটি ঘনফুটের কিছু বেশি।