কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি: ‘বাংলা ভাষা প্রচলন আইন’ ও প্রয়োগ

ঢাকা টাইমস মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫:১৯

চলছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি।প্রতি বছর ৮ ফাল্গুন বা ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখে আমরা স্মরণ করি তাঁদের,যাঁদের রক্তের দামে মাতৃভাষা বাংলা পেয়েছি।বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে একটাই সুর ধ্বনিত হয়,'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি?’ দিনটিকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেওয়ায় বাংলাদেশিদের পাশাপাশি ভিনদেশিরাও এদিন গাইবে এই গান। এটা আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে অনেক গৌরবের। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, ২১ ফেব্রুয়ারির পরের দিনই আমরা বাংলাদেশিরা ভুলে যাই বাংলা ভাষার কাঙ্ক্ষিত মর্যাদা ও শুদ্ধ প্রয়োগ। অনেক সময় না বুঝে স্রোতের বাণে অপ্রয়োগ বা ভুল করে বসি। ১৯৫২ সাল থেকে অদ্যাবধি অনেক পথ পাড়ি দিয়েছি কিন্তু মাতৃভাষার প্রয়োগে ও বাস্তবতায় অনেক ফারাক দেখি যা সত্যি ভাষার জন্য জীবন দেওয়া জাতি হিসেবে নিজেকে মাঝে মাঝে মনে হয় না। সংবিধান, আইন ও উচ্চ আদালতের রায় সবই মাতৃভাষা সর্বস্তরে প্রয়োগের অনুকূলে রয়েছে তারপরও এখনো মাতৃভাষার ব্যবহার সর্বজনীন করতে পারিনি।


অতি সম্প্রতি আমাদের দেশে উচ্চ আদালতের রায় ও আদেশ সাধারণ জনগণকে সহজে যাতে বোঝানো সম্ভব হয় সেজন্য “আমার ভাষা” নামে সফটওয়্যার চালু করেছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং আইন মন্ত্রণালয় যা সত্যিই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ও প্রশংসনীয়। ভাষার মাসে এমন উদ্যোগকে আইন পেশা সংশ্লিষ্ট সকলেই সাধুবাদ জানিয়েছে। মাননীয় প্রধান বিচারপতি ও মাননীয় আইনমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছে ভুক্তভোগী বিচারপ্রার্থী জনগণ।


বাংলাদেশের সংবিধানে তৃতীয় অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা’। সংবিধানের এই বিধান যথাযথভাবে কার্যকর করতে ১৯৮৭ সালের ৮ মার্চ ‘বাংলা ভাষা প্রচলন আইন’ কার্যকর করা হয়। এই আ ইনের ৩ (১) ধারায় বলা হয়েছে, “এ আইন প্রবর্তনের পর বাংলাদেশের সর্বত্র তথা সরকারি অফিস-আদালত, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে নথি ও চিঠিপত্র, আইন আদালতের সওয়াল-জওয়াব এবং অন্যান্য আইনানুগ কার্যাবলী অবশ্যই বাংলায় লিখিতে হবে।” ৩ (২)ধারায় আরও বলা হয়েছে, “উল্লেখিত কোনো কর্মস্থলে যদি কোনো ব্যক্তি বাংলা ভাষা ব্যতীত অন্য কোনো ভাষায় আবেদন বা আপিল করেন, তাহলে তা বেআইনি ও অকার্যকর বলে গণ্য হবে।”

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও