কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সর্বস্তরে বাংলা প্রচলনে অঙ্গীকার আছে, অগ্রগতি নেই

সমকাল অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:২৪

আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আছে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, আছে সুদীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রামের-ত্যাগের ও বিজয়ের ইতিহাস। সঠিক ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রবাহিত করা আমাদের কর্তব্য এবং দায়িত্ব। পূর্বপুরুষের মাতৃভূমির জন্য ত্যাগের ইতিহাস থেকে দেশপ্রেম জাগে আর দেশপ্রেমহীন কোনো জাতি এগোতে পারে না, দেশের কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। এ লক্ষ্য সামনে নিয়ে আমরা ১৯৯১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষক সমিতি, ডক্টরস ফোরাম এবং ছাত্র সংসদ সমন্বয়ে গঠিত একুশে উদযাপন কমিটির মাধ্যমে 'ভাষাসৈনিক সমাবেশ'-এর আয়োজন করেছিলাম। অধ্যাপক একেএম আব্দুস সালামকে আহ্বায়ক এবং আমাকে ঢামেক শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব করে শিক্ষক, চিকিৎসক এবং ছাত্রদের সমন্বয়ে একুশে উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল, নতুন প্রজন্মের কাছে ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য তুলে ধরা।


আমরা মাসখানেক সময় নিয়ে ব্যাপক প্রচার করেছিলাম, আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম ভাষাসৈনিকদের পাশাপাশি দেশের সুধীজনদের। দু-একজন ভাষাসৈনিক বাদে সেদিন সবাই ঢাকা মেডিকেল চত্বরে এসেছিলেন। এসেছিলেন ছাত্রসহ সব বয়সের মানুষ। নতুন প্রজন্মের ছাত্রদের উৎসাহিত করার জন্য আমরা বিশেষ প্রচারের আয়োজন করেছিলাম। ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য। ছাপানো হয়েছিল পোস্টার, স্মরণিকা। বিশাল প্যান্ডেল দিয়ে সাজানো হয়েছিল কলেজের ভেতরের ঐতিহাসিক চত্বর।


১৯৫২ সালের পর এত ভাষাসৈনিকদের সমাবেশ আর কখনও হয়নি- এই ছিল উপস্থিত ভাষাসৈনিকদের ভাষ্য। সেদিন আমরা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এক দৃষ্টান্ত তৈরি করার চেষ্টা করেছিলাম। নানা বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ করা হয়েছিল অনুষ্ঠানটি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় কবি বেগম সুফিয়া কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অধ্যাপক এম এ মাজেদ, বায়ান্নর শহীদ শফিউরের স্ত্রী আকলিমা খাতুন, শহীদজননী জাহানারা ইমাম, নব্বইয়ের শহীদ ডা. মিলনের মা সেলিনা আখতার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছিলেন ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীউল হক, বদরুদ্দীন উমর, ড. আনিসুজ্জামান, কবি শামসুর রাহমান, আমেরিকা প্রবাসী চিকিৎসক আলমগীর, বায়ান্নর ঢামেক ছাত্র সংসদের জিএস ডা. শারফুদ্দিন প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেছিলেন ভাষাসৈনিক অধ্যাপক একেএম আব্দুস সালাম। কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন অভিনেত্রী ডা. তামান্না, শমী কায়সার ও ডা. মনজুর। ভাষাসৈনিক, বরেণ্য চিকিৎসক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী ও সাহিত্যিকদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে মেডিকেল চত্বর।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও