কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রবৃদ্ধি বিতর্কের পেছনের বিতর্ক

সমকাল ড. আতিউর রহমান প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:১০

চলমান গভীর করোনা সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার যথেষ্ট চাঙ্গা রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বরাত দিয়ে সম্প্রতি একনেকে দেওয়া পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। আর স্বাভাবিক নিয়মেই বিশেষজ্ঞ মহলে এই তথ্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে। বিতর্ক খারাপ নয়। তবে এই প্রবৃদ্ধি বিতর্কের পেছনের বিতর্ক নিয়েও কথা বলা উচিত।


নিঃসন্দেহে জিডিপি প্রবৃদ্ধিই জনগণের জীবনের মান বোঝার জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট সূচক নয়। এই সূচকে আয়ের বৈষম্য, পরিবেশের ক্ষতি, গেরস্থালি কাজের হিসাব, সম্পদের অপচয়, সমরাস্ত্রের খরচ, পুঁজি পাচারসহ নানা প্রসঙ্গ সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় না। সে কারণে জিডিপিকেই একটি দেশের উন্নয়নের একমাত্র সূচক হিসেবে গ্রহণের বিপক্ষে নানা মত রয়েছে। কিন্তু এ কথাও ঠিক, জাতিসংঘের দেওয়া জাতীয় আয় সম্পর্কিত পদ্ধতির আলোকেই সারাবিশ্বের প্রতিটি দেশের উৎপাদিত পণ্য ও সার্ভিস মাপা হয়।


কিছু সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও পারস্পরিক তুলনার জন্যই এ সহজ পদ্ধতিটি বিশ্বব্যাপী গ্রহণ করা হয়েছে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, জিডিপির পাশাপাশি অন্যান্য সম্পূরক সূচক (যেমন মানব উন্নয়ন সূচক) যদি উপস্থাপান করা হয়, তাহলে একটি দেশের উন্নয়ন তথা অগ্রগতির সার্বিক চিত্রের সন্ধান মেলে। তাই বলে জিডিপির সূচককে হেলাফেলার কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারকদের কাছে এর চেয়ে উন্নতর সূচক যতদিন না মিলছে, ততদিন এটিই তাদের বিচারে জনগণের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পরিমাপের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নিয়ামক হিসেবে গণ্য হতে বাধ্য। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। এই প্রেক্ষাপট মনে রেখেই হালের জিডিপি হারের প্রাসঙ্গিক দিকগুলো নিয়ে আলাপ করতে চাই।


উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য অস্থায়ীভাবে প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি ছিল ৫.৪৩ শতাংশ। প্রাথমিক প্রাক্কলনের সময় কভিড পরিস্থিতি বেশ আশঙ্কাজনকই ছিল। তাই ওই সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকাটা ছিল খুবই স্বাভাবিক। তবে ধীরে ধীরে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মূল রপ্তানি শিল্প (বস্ত্র খাত) এবং কৃষিকে সচল রাখার জন্য নানামুখী নীতি-উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ দেশের পরিশ্রমী মানুষও বেঁচে থাকার তাগিদেই জীবন ও জীবিকার নানা উপায় খুঁজে নেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এসবেরই ইতিবাচক প্রভাব শেষ পর্যন্ত অর্থনীতির বিকাশের ওপর পড়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও