ফিকে হয়ে যাচ্ছে একুশের তাৎপর্য
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে একুশের চেতনার অপমান নিয়ে জাতীয় দৈনিকগুলোতে লিখে আসছি। কিন্তু কোনো পক্ষই আমলে নেয়নি। এতই দুর্ভাগ্য আমাদের যে বায়ান্নর পর প্রায় ৭০ বছর অতিক্রান্ত হচ্ছে, তবু সব ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে আদালতকে নির্দেশ দিতে হয়। রক্তমূল্যে ভাষার দাবি আদায় করে বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়েছিলেন আমাদের পূর্বসূরিরা।
বলা হয়, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বলিষ্ঠ প্রেরণা। আর এর ভেতরগত শক্তি এত প্রবল ছিল যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গৌরব অর্জন করেছে একুশে ফেব্রুয়ারি। কিন্তু ইতিহাসচর্চাবিমুখ আমরা এসব গৌরবের প্রণোদনা ছড়িয়ে দিতে পারছি না প্রজন্মের কাছে। তাই মাতৃভাষার শক্তি আর সৌন্দর্যকে স্পষ্ট করতে পারছি না। ফলে ফিকে হয়ে যাচ্ছে একুশের তাৎপর্য।
আর তাই কয়েক বছর আগে পুনর্বার রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা জারি করে বলতে হয়েছিল দূতাবাস ও বিদেশি প্রতিষ্ঠান ছাড়া ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন, গাড়ির নম্বর প্লেট, সাইনবোর্ড, ব্যক্তিগত নামফলক এক মাসের মধ্যে বাংলায় লিখতে হবে। এ ছাড়া সব ক্ষেত্রে অবিলম্বে বাংলা ভাষা ব্যবহারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।