সেলিব্রেটিদের সারোগেসি এবং সন্তান বিক্রি করা আমাদের মায়েরা

প্রথম আলো মনোজ দে প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৯:০৪

‘কোনো মাই চান না সন্তানরে হাতছাড়া করতে। সন্তান অইল একজন মায়ের বুকের ধন। একেবারে উপায় না দেইক্কা, হাসপাতালের পাওনা শোধ দেওনের লইগাই পোলাডারে বেইচা দিছিলাম।’ অসহায়তার এ আর্তি ২৮ বছর বয়সী মা তামান্না আক্তারের। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার হানিরপাড় গ্রামের মো. আলমের স্ত্রী তিনি। প্রসববেদনা নিয়ে সম্প্রতি ভর্তি হন ওই উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারে তাঁর ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। হাসপাতালের ২৭ হাজার টাকার বিল হয়। কিন্তু সেই টাকা শোধ করতে না পারায় বাড়ি ফিরতে পারছিলেন না তিনি। হাসপাতালের পাওনা মেটাতে নিজের সদ্যোজাত সন্তানকে এক নারীর কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন তিনি। গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হলে প্রশাসনের সহায়তায় নিজের সন্তানকে কোলে ফিরে পান এই মা।


তামান্নার এই সন্তান বিক্রির খবরে অনেকের সংবেদনশীল মনে হয়তো গভীর দাগ কেটেছে। অনেকে তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে সন্তান বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা আমাদের দেশ যে অভিনব, তা কিন্তু নয়। গত ২০ জানুয়ারি প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে পিরোজপুরের এক দম্পতির সন্তান বিক্রির খবর প্রকাশিত হয়েছে। পরিমল ব্যাপারীর নিজের জমিজমা নেই, তাই থাকেন অন্যের ঘরে। টুকটাক ঘটকালি আর এর-ওর কাছে চেয়েচিন্তে যা টাকা পান, তা দিয়েই কষ্টেসৃষ্টে চলে স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়ে সংসার। তাঁর ঘরে এসেছে নতুন অতিথি। কিন্তু তার মুখে খাবার তুলে দেবেন কীভাবে? অভাবের তাড়নায় ১৮ দিনের কন্যাশিশুকে বিক্রি করে দেন শহুরে এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে। মেয়েটাও ভালো থাকবে, বেশ কিছু নগদ টাকাও পাওয়া যাবে, এ–ই ছিল আশা। তবে যে পরিমাণ টাকা পাওয়ার কথা ছিল, তা তিনি পাননি। এক প্রতারক চক্র তাঁদের সন্তান বিক্রির সিংহভাগ টাকা নিয়ে যায়। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে শিশুটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেন আদালত। শিশুটির মা কাজল ব্যাপারী বলেন, ‘আমার স্বামী অভাবে থাকায় ও মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবে ধনী একটি পরিবারকে শিশুটিকে দত্তক দিয়েছিলাম। আমি তো মা। মায়ের মন সন্তানের জন্য ছটফট করে। সন্তানকে ফিরে পেয়ে আমি খুশি।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও