কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মাতৃভাষা সুরক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি

সমকাল অজিত কুমার সরকার প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:২৮

স্বাধীনতার জন্য বাঙালির ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় অধ্যায় বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন। রক্তস্নাত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মাতৃভাষার জাতীয় মর্যাদা প্রতিষ্ঠার এমন উদাহরণ বিশ্বে বিরল। শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, ২১ ফেব্রুয়ারিকে ইউনেস্কো কর্তৃক 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান এবং ২০০০ সাল থেকে জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত ১৯১টি দেশে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন ভাষা আন্দোলনকে বিশ্ব ইতিহাসেরও গৌরবময় অধ্যায়ে পরিণত করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই ১৯৫২ সালেই বাংলাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যান। ওই বছর তিনি চীনের পিকিংয়ে (২-১২ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত বিশ্বশান্তি সম্মেলনে বাংলায় বক্তৃতা করেন। কেন তিনি চীনের বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে বাংলায় ভাষণ দেন তার উল্লেখ রয়েছে 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' (পৃষ্ঠা ২২৮)-তে। তিনি বলেছেন, 'পূর্ব বাংলার ছাত্ররা জীবন দিয়েছে মাতৃভাষার জন্য। বাংলা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু লোকের ভাষা। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে না জানে এমন শিক্ষিত লোক চীন কেন দুনিয়ার অন্যান্য দেশেও আমি খুব কম দেখেছি। আমি ইংরেজিতে কথা বলতে পারি। তবু মাতৃভাষায় কথা বলা আমার কর্তব্য।' এরপর স্বাধীনতা-উত্তর ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে প্রথমবারের মতো বাংলায় বক্তৃতা করেন।


আসলে বাংলায় বক্তৃতা করে বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলা ভাষাকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে পরিচয় করানো নয়, বাঙালির স্বকীয় বৈশিষ্ট্য এবং ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির আত্মত্যাগের বিনিময়ে মাতৃভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার বার্তাও পৌঁছে দেন। কিন্তু যে ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য এত আন্দোলন, এত আত্মত্যাগ সেই ভাষা আজ কতটা টেকসই? শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই মাতৃভাষা ভুলে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। আমাদের দেশের শিক্ষিত তরুণদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাকে ইংরেজির চেয়ে কঠিন মনে করে। ইংরেজি ভাষার আগ্রাসনের কারণে অনেক দেশের ভাষা-ই এখন অস্তিত্ব সংকটে।


বাস্তবতা হচ্ছে যেসব ভাষার লিখিত রূপ নেই, সেই ভাষাগুলোর অধিকাংশই পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে। লিখিত রূপ ও চর্চার অভাব এবং অন্য ভাষার আগ্রাসনের কারণে পৃথিবী থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় দু-একটি ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্বের প্রায় সাড়ে সাত হাজার ভাষার অধিকাংশই এক সময় হারিয়ে যাবে। অভিজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান শতাব্দী শেষে ৬০ থেকে ৯০ শতাংশ ভাষার ভাগ্য বিপর্যয় ঘটতে পারে। ফরাসি ভাষাবিদ ক্লাউড হেজেজ বলেছেন, 'ইংরেজি ভাষা যেভাবে প্রভাব বিস্তার করছে তাতে আমরা যদি সতর্ক না হই এক সময় তা অধিকাংশ ভাষার মৃত্যু ঘটাবে।' কিন্তু ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখার উপায় কী? বর্তমান বিশ্বে অন্যতম উপায় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে প্রযুক্তিকে। এ নিবন্ধে তাই গুরুত্ব পেয়েছে মাতৃভাষাকে টেকসই করতে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও