শাহজালাল কিংবা নিরাপদ সড়ক, আন্দোলনে বল প্রয়োগই কেন শেষ কথা?

প্রথম আলো রুমিন ফারহানা প্রকাশিত: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭:৩৪

গত এক-দেড় সপ্তাহ যাবৎ দেশের গণমাধ্যমগুলোর শিরোনাম জুড়ে ছিল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) খবর। ছাত্রছাত্রীদের উত্তাল আন্দোলন, পুলিশ আর ছাত্রলীগের দুই দফা হামলা আর অনশন—পুরো পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে তুলেছিল। অথচ বিষয়টি এত দূর গড়ানোর কথা নয়।


বহু আগেই এর সমাধান হতে পারত। আন্দোলনের একপর্যায়ে ছাত্রদের এক দফা দাবি ছিল উপাচার্যের পদত্যাগ। আর তাই প্রশ্ন উঠতেই পারে, উপাচার্য কি আগেই পদত্যাগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলা চরমতম অচলাবস্থার সমাধান করতে পারতেন না। দেশের সর্বস্তরের মানুষ দাঁড়িয়েছিল ছাত্রদের পক্ষে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা টের পাওয়া গেছে। সরকারি দলের একেবারে অন্ধ সমর্থক ছাড়া সবাই একমত ছিল উপাচার্যের সরে যাওয়ার বিষয়ে।

দেশে নির্বাচনব্যবস্থা থাকুক আর না-ই থাকুক, মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পাক কিংবা না-ই পাক, গণতন্ত্র মূল্যায়নকারী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার মূল্যায়ন যা-ই হোক না কেন, সরকার নিজেকে জোর গলায় গণতান্ত্রিক দাবি করে। এই কয়েক দিন আগেই বর্তমান মেয়াদের তিন বছর পূর্তিতে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অকল্পনীয় পরিমাণ ভোট দিয়ে জনগণ তাদের তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে। কী ভয়ংকর তামাশা জাতির সঙ্গে!

দেশের প্রায় সব মানুষ যখন শাবিপ্রবির উপাচার্যের পদত্যাগ চাইছে, ছাত্রছাত্রীরা অনশন করে অনেকেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে, তখনো বাংলাদেশের ‘গণতান্ত্রিক’ সরকার এই ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং আন্দোলনকারী এবং আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ানো অনেকের ওপর সরকারের নিপীড়ন নেমে এসেছে। বিষয়টি অনেককে অবাক করলেও বর্তমান বাংলাদেশে সরকার যেভাবে দেশ চালাচ্ছে তাতে এমনটিই হওয়ার কথা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও