কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ইউপি নির্বাচনের ফল কী বার্তা দিচ্ছে

কালের কণ্ঠ ড. নিয়াজ আহম্মেদ প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৪১

সরকার ২০১৬ সাল থেকে ইউপি নির্বাচনে শুধু চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ সিদ্ধান্ত তৃণমূল পর্যায় থেকে রাজনৈতিক গণতন্ত্রায়নের যাত্রাকে অনেকে সাধুবাদ জানিয়েছিল। আবার ভিন্নমতও ছিল। কেননা স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন যেহেতু সরকার পরিবর্তনে কোনো ভূমিকা রাখে না, সে ক্ষেত্রে কেনই বা দলীয় ব্যানারে নির্বাচন। তবে এ কথা সত্য, রাজনৈতিক জবাবদিহি তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করতে হলে দলীয় ব্যানারে নির্বাচন যুক্তিযুক্ত। একজন সংসদ সদস্যের চেয়ে একজন ইউপি চেয়ারম্যানের সাধারণ জনগণের সঙ্গে কাজের পরিধি ও জবাবদিহি অনেক বেশি। সাধারণ জনগণ চেয়ারম্যানকে সহজে কাছে পায়। যখন দলীয় ব্যানারে নির্বাচন হয় তখন প্রশ্ন, মনোনয়ন এবং কোন দল কতটিতে জয়লাভ করেছে। নির্বাচনের ফলাফলকে সরকারের জনপ্রিয়তার সঙ্গে মিলিয়ে নানা প্রশ্ন করা হয়। ফল দলের পক্ষে গেলে সরকারের জনপ্রিয়তা ভালো বলে মনে হয়।


একটি কথা সবাইকে মনে রাখতে হবে, নির্বাচন দলীয় ব্যানারে হলেও তা যতটা না দলীয় তার চেয়ে বেশি ব্যক্তিগত সম্পর্ক, গোষ্ঠী সম্পর্কসহ আরো অনেক বিষয়। আবার এ কথাও ভুললে চলবে না, রাজনীতি একটি বড় বিষয় যেখানে আমরা অনেক কিছু রাজনৈতিকভাবে বিবেচনা করি। এ পর্যন্ত পাঁচ ধাপে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রথম ধাপে ৭৩.৪৮ শতাংশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়লাভ করেছিলেন। পঞ্চম ধাপে এসে যা কমে ৪৯.২৭ শতাংশে দাঁড়ায়। এই ধাপে ৬৩২টি ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের ১৮৩ জন বিদ্রোহী প্রার্থী জয়লাভ করেন। বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার সব কটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। অনেক ইউপিতে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ও ছিল না নৌকা। কোনো কোনো সংসদীয় আসন যেখানে মন্ত্রীও রয়েছেন, অথচ নগণ্য সংখ্যক প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অর্থাৎ মনোনয়নের প্রেক্ষাপটে ফলাফল বিশ্লেষণ করলে হতাশার সুর বাজতে পারে। কিন্তু যাঁরা বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন তাঁরাও আওয়ামী লীগের সমর্থক। ওই অর্থে সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বড় ভুল সঠিক প্রার্থীকে মনোনয়ন না দেওয়া।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও