খোলা থাক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দরজা
সেই পুরনো আপ্তবাক্য ‘ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়।’ কভিডের রক্তচক্ষুতে আমরাও ঘর পোড়া গরু ছিলাম। অনেক কিছুর মতো আমরাও চোখের সামনে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ পুড়তে দেখেছি। প্রায় দুই বছর পর কিছুটা স্বস্তির মুখ দেখেছি। কভিডের দাপট কমেছে। সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমেছে। মৃত্যু কোনো কোনো দিনে শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ চলে এসেছে টিকার আওতায়। স্বাভাবিক হয়ে আসতে থাকে দেশ। অফিস-আদালত, কলকারখানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আর যানবাহন চলা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রশ্নে সরকারকে আরেকটু ভাবতে হয়। এরপর ধাপে ধাপে খুলতে থাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দরজা। এরই মধ্যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে সরাসরি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সীমিত পরিসরে খোলার পর পরিসর বড় হতে থাকে। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও ক্লাস পরীক্ষা শুরু হয়। হলের দরজাও খুলে যায়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই দুই ডোজ টিকা নিয়ে অনেকটা সুরক্ষিত। ফিরে আসতে থাকে ছন্দ। এমন এক বাস্তবতায় ওমিক্রনের আঘাত বাংলাদেশের ওপরও আছড়ে পড়ে। তবে বহির্বিশ্বের মতো অতটা সংক্রমণ ছড়ায়নি। মৃত্যুর হার খুব বাড়েনি। তবে সরকারসহ সবাইকে সতর্ক হতে হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে বড় প্রশ্ন এসে দেখা দিয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আবার বন্ধ করে দিতে হবে কি না।