কোন ডিগ্রি নিয়ে কোন চাকরির পিছে ছুটছেন তরুণেরা
প্রতিবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল ঘোষিত হওয়ার পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জিপিএ–৫ পাওয়া কিশোর-কিশোরীদের হাস্যোজ্জ্বল মুখ কিংবা আনন্দোচ্ছল ভঙ্গিমার বহু ছবি দেখতে পাওয়া যায়। কোমলমতি এসব শিক্ষার্থী যখন উচ্চমাধ্যমিক ডিঙিয়ে পরিণত তারুণ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করে চাকরির বাজারে প্রবেশ করে, তখন তাদের কারও কারও সঙ্গে আমাদের আবার দেখা হয় ইন্টারভিউ বোর্ডে। মাধ্যমিকে ভালো ফল করা উজ্জ্বল মুখের দ্যুতি আর নেই, হারিয়ে গেছে প্রাণোচ্ছল স্বতঃস্ফূর্ততা।
কঠিন বাস্তব জীবনের মুখোমুখি পরম কাঙ্ক্ষিত একটা চাকরি হওয়া না হওয়ার দোলাচলে আড়ষ্ট। মুখস্থ করা তথ্যও ঠিকভাবে জবাব দিতে পারে না অনেকেই। যে বিভাগের স্নাতক বা স্নাতকোত্তর, সেই বিষয়ের খুব সাধারণ ও মৌলিক জিনিসেরও জবাব দিতে না পেরে অজুহাত হিসেবে বলে, কয়েক বছর আগের পড়া, তাই মনে নেই। তখন প্রমাণিত হয় মুখস্থ বিদ্যার বিপদ। আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের কোনো বিষয় ঠোঁটস্থ করতে শেখানো হয়, আত্মস্থ করতে নয়।