মানবসম্পদ উন্নয়নে জোর দিতে হবে
মানবসম্পদ উন্নয়ন একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নের বড় খাত। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর আজকের অবস্থানের মূলে মানবসম্পদ উন্নয়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া। আর মানবসম্পদ উন্নয়নের পাশাপাশি দরকার এ সম্পদ কাজে লাগানোর ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান অর্থাৎ কাজের সুযোগ সৃষ্টি। দেশে ও বিদেশে চাকরির মাধ্যমে আমরা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারি। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেকার জনগোষ্ঠীর আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারি। উভয়ের জন্য প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্র প্রস্তুতের জায়গায় রাষ্ট্রের ভূমিকা মুখ্য, যদিও শিক্ষা এখন বেসরকারি পর্যায়ে চলে গেছে। কিন্তু মূলধারা বা শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে।
শিক্ষার মাধ্যমে আমরা উদ্যোক্তা তৈরির পথ সুগম করতে পারি। তখন রাষ্ট্রের দায়িত্বের অংশ কর্মসংস্থানে উদ্যোক্তারা অবদান রাখতে পারেন। রাষ্ট্রের দায় তখন শিল্প-কলকারখানা স্থাপনে সহায়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। সহায়তা হতে পারে জমি ও ঋণের মতো বিষয়। আমাদের সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে। বর্তমানে ১০০টির বেশি অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কাজ করছে। এভাবে ধাপে ধাপে একটি দেশ উন্নতির দিকে ধাবিত হয়। মানবসম্পদ উন্নয়ন যার পরোক্ষ প্রভাব কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি, এর জন্য বড় প্রয়োজন ভারসাম্যমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষার শুরু প্রাথমিক শিক্ষার ওপর বেশি গুরুত্ব না দিলে উচ্চতর প্রতিষ্ঠান যতই করি না কেন, সেখানে মানসম্মত শিক্ষার্থী পাওয়া সহজ হবে না। এককথায় প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নত না হলে উচ্চশিক্ষার মানও উন্নত হবে না।