ঢালাও বিধিনিষেধের 'ফাঁদে' পা দেওয়া যাবে না
করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রনের বিস্তারে সারাবিশ্বে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। আমাদের দেশেও রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ব্যাপক হারে সংক্রমণের খবর এখনও পাওয়া যায়নি। এর পরও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ভয়াবহতা আমাদের জন্য লাল সংকেত দিচ্ছে। তাই এ মহামারি মোকাবিলায় এরই মধ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গণপরিবহনে আগের মতো এক আসন খালি রেখে অর্ধেক সংখ্যক আসনে যাত্রী পরিবহনের বিষয়টি বাস্তবায়নের ব্যাপারে সরকার ভাবতে শুরু করেছে। হয়তো দ্রুত এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সিদ্ধান্ত আসবে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই রাষ্ট্রকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে গণপরিবহনে সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলাচল অন্যতম। অফিস-আদালতও রুটিন করে সীমিত জনবল দিয়ে পরিচালনা করা যেতে পারে। তবে কোনোভাবেই ঢালাও বিধিনিষেধ আরোপ করা উচিত হবে না। জীবন ও জীবিকার কথা বিবেচনায় নিয়ে বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্নেষণ করে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে। যেমন- বিশেষ কোনো এলাকায় সংক্রমণ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে শুধু সেই এলাকাকেই লকডাউনের আওতায় আনা যেতে পারে। পুরো দেশে লকডাউন চাপিয়ে দেওয়াটা উচিত হবে না। কারণ এ ধরনের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই সিদ্ধান্ত নিতে হবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে। জীবন ও জীবিকাকে প্রাধান্য দিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকার সিদ্ধান্ত নিলে সেখান থেকে আশানুরূপ ফল আসবে। সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্তে সুফলের চেয়ে ভোগান্তি বাড়বে। যদি একটি উপজেলা, জেলা, মহানগরী বা মহানগরীর একটি ওয়ার্ডে করোনা ছড়িয়ে পড়ে তাহলে শুধু ওই এলাকাকেই বিধিনিষেধের আওতায় আনতে হবে। পুরো অঞ্চল বা দেশকে সেই আওতায় আনা যাবে না।
- ট্যাগ:
- মতামত
- ওমিক্রন ধরন
- ওমিক্রনের প্রকোপ