উচ্চ ফলনশীল ফসলের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন তরুণ কৃষকরা
রাজশাহীর গোদাগারী উপজেলার কৃষক মোঃ তাসারুল ইসলাম গতানুগতিক ফসল চাষ করলেও খুব বেশি সচ্ছলতা ছিল না সংসারে। কিন্তু পরিবর্তন আসা শুরু করে যখন তিনি 'হাই ভ্যালু ক্রপ' বা উচ্চফলনশীল শস্য হিসেবে পেঁয়াজের বীজের চাষ শুরু করেন। আয় বৃদ্ধিতে উচ্চফলনশীল জাতের টমেটো ও বেগুণ চাষের পাশাপাশি ধীরে ধীরে গরু-ছাগলের খামারও গড়ে তোলেন এই কৃষক ।
৩৪ বছর বয়সী মোঃ তাসারুল ইসলাম বলেন, "একসময় শুধু ধানের চাষই করতাম। এ দিয়ে কোন রকমে সংসার চলতো। কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ট্রেনিং ও সহায়তা নিয়ে যখন পেঁয়াজ বীজের বাণিজ্যিক চাষ শুরু করি তখন থেকেই আয় বাড়তে থাকে। বর্তমানে কৃষি উৎপাদন ও খামার থেকে আমার বাৎসরিক আয় প্রায় ৫ লাখ টাকা।"
প্রডাক্ট ডাইভারসিফিকেশনের মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল ও হাই ভ্যালু প্রডাক্টের চাষাবাদের মাধ্যমে তাসারুল ইসলামের মত আরও অনেকেরই আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে বাস্তবায়িত হয় এই 'সেকেন্ড ক্রপ ডাইভারসিফিকেশন প্রোজেক্ট (এসসিডিপি)'। গত নভেম্বর এডিবি এই প্রজেক্টের একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করে।