কক্সবাজারের পর্যটন: বয়কট কোনও সমাধান নয়
কক্সবাজারে স্বামী সন্তানকে আটকে রেখে একজন নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে। পুলিশের তরফে বলা হচ্ছে, ওই নারী আসলে পর্যটক নন। তিনি কয়েক মাস ধরেই কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, তারা ওই নারীর পূর্বপরিচিত। এমনকি কেউ কেউ ইঙ্গিত করছেন, ওই নারী ‘পতিতাবৃত্তি’র সঙ্গে যুক্ত এবং টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে ইত্যাদি।
এই ঘটনার কয়েকটি দিক ও ইমপ্যাক্ট রয়েছে। যেমন, যারা বলছেন বা দাবি করছেন যে, অভিযুক্তরা ওই নারীর পূর্ব পরিচিত এবং ওই নারী যদি সত্যি সত্যি ‘পতিতাবৃত্তি’র সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাতেও কি এই ধর্ষণের ঘটনটি বৈধতা পায়? সম্মতি ছাড়া একজন পতিতার সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্ক করাও যে ধর্ষণ, সেই বাস্তবতাটা আমাদের দায়িত্বশীল মানুষেরাও অনেক সময় ভুলে যান। দ্বিতীয়ত, ‘অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারী পূর্ব পরিচিত’—এই কথা বলে কি ধর্ষণের অভিযোগকে হালকা করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে? তৃতীয়ত, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো কক্সবাজারের পর্যটন নিয়েই একটা বড় ধরনের নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ কক্সবাজারকে বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন। অনেকে মনে করছেন, এই ঘটনা পুরো দেশের পর্যটন শিল্পকে হুমকির মুখে ফেলবে। আসলে কি তা-ই?