হাসিনা সরকারের জন্য উভয়সংকট
একটা দীর্ঘ সময় হাসপাতালে কাটিয়ে এলাম। ডাক্তাররা জবাব দিয়েছেন। বলেছেন, আমার আয়ু আর বড়জোর সাত মাস। আমি এটা বিশ্বাস করিনি। এখনো লড়াই করে বেঁচে আছি। তাই রোগশয্যায় শুয়েও লিখছি। আমার রোগশয্যায় থাকাকালে বিশ্বে অনেক বড় বড় পরিবর্তন ঘটেছে। এর মধ্যে একটি বাংলাদেশ ও আমেরিকার সম্পর্ক। সম্প্রতি আমেরিকা বাংলাদেশকে তাদের গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি।
র্যাবের কর্মকর্তাদের আমেরিকা ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে। তার প্রতিবাদে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আমেরিকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অসংখ্য উদাহরণ দেখিয়েছেন। তা সত্ত্বেও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমার মতে, এই আলোচনায় সুফল হবে না। আমেরিকা চায় বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ বশীভূত করতে। সম্প্রতি ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান মিলে যে স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে তাতে আজ হোক কাল হোক বাংলাদেশকে ঢুকতে হবে।