মুক্তিদূত বিদেশি বীর প্রতীক ওডারল্যান্ড
আমি সিডনিতে অভিবাসন নিয়ে ১৯৯৬ সালে আসার পর এই মানুষটির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু তিন হাজার কিলোমিটার দূরে পার্থ শহরে উড়ে যাওয়ার মতো ডলার ছিল না পকেটে। ছিল না গাড়ি। ফলে টেলিফোনই ভরসা। কিন্তু তত দিনে তিনি শেষ শয্যায়। তার ওপর প্রচণ্ড অভিমানে বাংলাদেশের জন্য অপার ভালোবাসার পরও কোনো বাঙালির সঙ্গে সহজে কথা বলতে চান না। যে দেশের জন্য তিনি জানবাজি রেখে লড়েছিলেন, তার যেকোনো পতনে তিনি বিচলিত হবেন—এটাই স্বাভাবিক। অনেক কষ্ট করে মাত্র একবার কথা বলতে পেরেছিলাম। আসুন, আজ সেই ভদ্রলোকের সঙ্গে পরিচিত হই। ভদ্রলোকের নাম আপনি না-ই জানতে পারেন, তবে জানে দেশ, দেশের রক্তমাখা মাটি, বৃক্ষ, ফুল, অগণন তারকারাজি।