সোনার হরিণ চাকরি ও ‘ঘোড়দৌড়ে’ ক্লান্ত যখন তারুণ্য
আ ওয়াইল্ড গুস চেজ—ইংরেজি এই বাগ্ধারার সোজা বাংলায় অর্থ, বুনো হাঁসের পিছে ছোটা। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সেটির সঙ্গে আবার জড়িয়ে আছে ঘোড়দৌড়। মানে ঘোড়া নিয়ে বুনো হাঁসের পেছনে ছোটা, তবুও সেই হাঁসকে ধরা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই হাঁস-ঘোড়ার দৌড়কে প্রথম বাগ্ধারায় নিয়ে এলেন শেক্সপিয়ার, পনেরো শতকে রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট নাটকে।
মানে অসম্ভবের পেছনে ছোটা। কিন্তু শেক্সপিয়ারের সেই বুনো হাঁস বাংলায় হয়ে গেল সোনার হরিণ। রবীন্দ্রনাথের এক গানেও আমরা পেলাম এ সোনার হরিণকে—‘তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই।’ কীভাবে সেই বুনো হাঁস বা সোনার হরিণের সমার্থক শব্দ ‘চাকরি’ হয়ে উঠল জানি না। কিন্তু সেটির সঙ্গে যে এক অদ্ভুত ঘোড়দৌড়ে ক্লান্ত আমাদের তরুণেরা এবং করোনা মহামারি তাঁদের জন্য ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে উঠল, সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না।
- ট্যাগ:
- মতামত
- তরুণ
- চাকুরি
- পুঁজিবাদী
- আর্থ-সামাজিক অবস্থা