এইসব দেলোয়ার ও ফারহানা
যেখানে অনেক চরিত্র একসঙ্গে কিছু নিয়মকানুনের সূত্র ধরে বসবাস উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলে, মূলত সমাজ বলতে মোটা দাগে আমরা এটুকুই বুঝি। মানুষ ছাড়াও সমাজের অস্তিত্ব ইতর প্রাণীর ক্ষেত্রে দেখা যায় বটে, তবে ওই সমাজে মানুষের মতো কাঠামোবদ্ধ সমাজের দৃষ্টান্ত দৃষ্টিগ্রাহ্য নয়। কিন্তু মানুষের বসবাস উপযোগী সমাজে যে ক্ষয়, নৃশংসতা, কূপমণ্ডূকতা, মানুষরূপী প্রাণী মাত্রের নখরাঘাত কখনও কখনও শুধু বিস্মিতই নয়, উপরন্তু প্রশ্ন দাঁড়ায়- স্তর কিংবা অবস্থানগত পরিচয় ম্লান করে দিয়ে এ কোন দানবীয়তা গ্রাস করছে আমাদের!
সমাজের পারস্পরিক মমত্ববোধ, সৌহার্দ্য, সহযোগিতা, কল্যাণ-চিন্তার ঐতিহ্যের বিপরীতে ঘৃণা, লোভ, জিঘাংসার উন্মত্ততা সুষ্ঠু সমাজ ব্যবস্থার জন্য কতটা বৈরী হয়ে উঠেছে, এর বর্ণনা দেওয়াও কখনও কখনও খুব ভার হয়ে ওঠে।