করোনাকালে বেকারত্ব ও সরকারের ‘অনুদার ছাড়’
করোনাকালে সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ব্যবসায়ী থেকে উদ্যোক্তা, সংবাদমাধ্যম থেকে এনজিও—সবার ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, এখনো পড়ছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তরুণেরা। এই তরুণদের একাংশ সবে শিক্ষাঙ্গন পেরিয়ে চাকরির বাজারে প্রবেশের অপেক্ষায় ছিলেন। অপরাংশ শিক্ষাজীবনের শেষ ধাপে ছিল; যাঁরা স্নাতক সম্মান শেষ বর্ষ বা স্নাতকোত্তর শ্রেণির পরীক্ষার্থী ছিলেন। করোনা তাঁদের জীবন থেকে ইতিমধ্যে দেড় বছর কেড়ে নিয়েছে। কবে করোনার অবসান হবে, শিক্ষা ও চাকরির বাজারে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে, এখনো নিশ্চিত নয়।
এ অবস্থায় চাকরিপ্রার্থী তরুণেরা যে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন, তা অযৌক্তিক নয়। দেড় বছর ধরে সরকারি-বেসরকারি খাতে নতুন নিয়োগ হচ্ছে না। অনেক প্রতিষ্ঠান আর্থিক সমস্যার দোহাই দিয়ে হয় কর্মী ছাঁটাই করেছে, অথবা তাঁদের বেতন-ভাতা কমিয়ে দিয়েছে।