গাজায় যুদ্ধ: সামনে একটি পথই খোলা
আপনি ও আমি, আমরা সবাই মানুষ। আমাদের পরিবার আছে, সম্ভবত সন্তান ও নাতি-নাতনিও আছে। বন্ধুবান্ধব আর প্রতিবেশীতো আছেই। আমরা ভিন্ন ভিন্ন জাতির, ভিন্ন ভিন্ন নৃগোষ্ঠীর। আমাদের বিশ্বাসও ভিন্ন। আমরা সবাই চরম দারিদ্র্য ও যুদ্ধ দেখেছি, দেখেছি হত্যা ও মৃত্যু— প্রত্যক্ষভাবে অথবা সংবাদ মাধ্যমে।
কিন্তু, আমাদের অনুভূতি অভিন্ন। সহমর্মিতা আমাদের ব্যক্তিস্বত্তার, আমাদের ডিএনএর অবিচ্ছেদ্য অংশ। মানবসত্তার এই বৈশিষ্ট্যটি সম্পূর্ণ রুদ্ধ না করে দিলে গাজায় বিগত সপ্তাহগুলোতে যা ঘটে গেল তা দেখে প্রবলভাবে ব্যথিত, ক্ষুব্ধ ও অসহায় বোধ না করাটা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়।
গাজার অধিবাসীদের ওপর এই অসম যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া দেশটি হচ্ছে সেই দেশটি যা পৃথিবীর বুকে মানবসৃষ্ট সবচেয়ে হৃদয়বিদারক দুযোর্গগুলির একটি। অর্থাৎ ইহুদি-নিধনযজ্ঞের পর প্রাচীন ফিলিস্তিনের বুক কেটে সৃষ্টি করা হয়েছিল।
বোমার গন্ধ মিলিয়ে যাওয়ার পর দু’পক্ষই যখন তাদের ‘বিজয় উদ্যাপনে’ ব্যস্ত, এখন আমাদের সবাইকেই এ প্রশ্ন করতে হচ্ছে— আমরা এখন কী করব।