তালেবানি অভ্যুত্থানের জন্য অপেক্ষা করছি?
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিবশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে ২৬ মার্চ থেকে সংঘটিত ঘটনাবলির প্রেক্ষাপটে হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে নারকীয় তাণ্ডব হয়েছে, তা অনেকের কাছে অভাবনীয় মনে হলেও মোটেই অদৃষ্টপূর্ব নয়। এর আগেও ১৯৯৮ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উৎসব উপলক্ষে তারা হরতাল ডেকেছিল। ওই উৎসব উপলক্ষে এনজিও সংগঠন প্রশিকার তৃণমূল সংগঠনের সারাদেশ থেকে আসা নারী-পুরুষের ওপর হামলা হয়েছিল তো বটেই, তবে যে বিষয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা বিশেষ উৎসাহী ছিল, তা হলো নারীদের লাঞ্ছনা করা, শারীরিকভাবে নির্যাতন করা। এবারের মতো সেবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রশাসন ওই হরতালের দিন শহর থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। এবার অবশ্য পুলিশ আর বর্ডার গার্ড মোতায়েন ছিল। কিন্তু আগের দিন শহর ও শহরতলির তিনটি অংশে সংঘর্ষে ৫ জনের মৃত্যু হওয়ায় তারা পিছিয়ে গিয়েছিল কিনা বলতে পারছি না। এ কারণেই সম্ভবত স্থানীয় সংসদ সদস্য ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করে ওই হরতালে নেতৃত্বদানকারী জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসা আক্রমণের অভিযোগ তুলেছেন, যা স্থানীয় সংসদ সদস্যের বক্তব্য অনুযায়ী সর্বৈব মিথ্যা।