জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে গেলেই জরিমানা করবে র্যাব
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন জারি করেছে সরকার। লকডাউন চলাকালে সাধারণ মানুষকে ঘরের বাইরে বের হতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এই নির্দেশনা অমান্য করলে ব্যবস্থা নেবে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তবে জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যাওয়ার জন্য 'মুভমেন্ট পাসে'র ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে র্যাব-৩-এর সহযোগিতায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলছে সারাদেশে। লকডাউনের প্রথম দিন রাজধানীর সড়ক ফাঁকা থাকলেও দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে যানবাহনের আধিক্য দেখা গেছে।
লকডাউন চলাকালীন অতি জরুরি প্রয়োজন না হলে বাইরে বের হওয়ায় রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বাইরে বের হতে হলে লাগবে পুলিশের ‘মুভমেন্ট পাস’। মানুষের চলাচল কমাতে রয়েছে পুলিশের তৎপরতা। প্রথম দিনের মতোই দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর মোড়ে মোড়ে পুলিশের তল্লাশি চৌকি চোখে পড়েছে।
লকডাউনের দ্বিতীয় দিন আজ, খুলেছে পোশাক কারখানা
চলমান ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ মধ্যেই সাভারে আজ বৃহস্পতিবার খুলেছে তৈরি পোশাক কারখানা। সাভার-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে দেড় হাজার তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিক রয়েছেন প্রায় ৩০ লাখ।
এদিকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ কার্যকর করতে সড়ক-মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বসেছে পুলিশের চেকপোস্ট, চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান।
তবে বেশিরভাগ শিল্পকারখানার নিজস্ব তত্ত্বাবধানে শ্রমিক পরিবহণের ব্যবস্থা না থাকায় মারাত্মক ভোগান্তির কবলে পড়েছেন সাভার-আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে নিয়োজিত শ্রমিকেরা।
লকডাউন: দ্বিতীয় দিনে ঢাকার রাস্তায় লোক চলাচল বেড়েছে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকার যে লকডাউন আরোপ করেছে, সেটির দ্বিতীয় দিন চলছে আজ। প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন রাস্তায় তুলনামূলক শিথিলভাব দেখা গেছে। সকালে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেল, পুলিশ চেকপোস্টগুলো প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন কিছুটা নমনীয়।
প্রথম দিন যেসব চেকপোস্টে পুলিশ বেশ কঠোর মনোভাব দেখিয়ে প্রায় প্রতিটি গাড়ি আটকে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, আজ সেই চিত্র খুব একটা দেখা যায়নি।
তবে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে সব রাস্তায় চলাচল করা যাচ্ছে না।