আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

বিবিসি বাংলা (ইংল্যান্ড) প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২১, ০৮:১৭

বাংলাদেশে বুধবার থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের সময় বিদেশগামী ফ্লাইট চালু রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)। সোমবার বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এক সপ্তাহের জন্য সকল যাত্রীবাহী আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের আনাগোনা নিষিদ্ধ করেছিল যা আজ (বুধবার) থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।
কিন্তু জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রা আর ট্রাভেল এজেন্টদের সংগঠন আটাব বলছে কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে অন্তত ২৮ হাজার বিদেশগামী শ্রমিক দুর্ভোগে পড়বে এবং তাদের অনেকের জন্য চাকুরি হারানোর পরিস্থিতি তৈরি হবে।


আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত: অভিবাসী কর্মীদের স্বপ্নভঙ্গ


করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামীকাল থেকে এক সপ্তাহের জন্যে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত করার সিদ্ধান্তে হতাশাজনক পরিস্থিতিতে পড়েছেন অভিবাসী শ্রমিকরা। দুই বছরের ওয়ার্ক পারমিট, ভিসা ও প্লেনের টিকিটসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র গুছিয়ে ১৭ এপ্রিল সৌদি আরবগামী একটি ফ্লাইটে ওঠার জন্যে অপেক্ষা করছিলেন তারিকুল ইসলাম (৩৮)। মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে মাসে এক হাজার ৩০০ রিয়াল বেতনের চাকরি নিয়ে একটি নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছিলেন তারিকুল। আশা ছিল এর মাধ্যমেই ময়মনসিংহের ফুলপুরে বসবাসরত তাদের চার সদস্যের পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তন হবে।


লকডাউনে বন্ধ থাকবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট: বেবিচক


দেশে করোনা সংক্রমণ রোধে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া ‘কঠোর লকডাউনের’ মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলবে না। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, ‘আগামী ১৪ থেকে ২০ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল করবে না। এই সময়ে দেশের বাইরে থেকেও কোনো ফ্লাইট দেশে আসতে পারবে না।’ 


লকডাউনে শিল্প কারখানা খোলা থাকবে


করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী বুধবার থেকে কঠোর লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করেছিল সরকার। তবে বাধ সাধেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকেরা। তাঁরা দাবি করেন, কারখানা বন্ধ করলে ক্রয়াদেশ হারাবে বাংলাদেশ। তা ছাড়া শ্রমিকেরা ছুটিতে গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা দিলে সংক্রমণ আরও ছড়াবে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার লকডাউনে শিল্প কারখানা খোলা রাখার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তাভাবনা করছে।


লকডাউনে ব্যাংক চলবে ১টা পর্যন্ত


আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার ঘোষিত ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ ব্যাংকে লেনদেন সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত চলবে। ব্যাংক খোলা রাখা যাবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। বাংলাদেশ ব্যাংক আজ নতুন করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আজ নতুন এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত সরকার থেকে বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও