অক্সিজেন নিয়ে চলছে কাড়াকাড়ি!

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২১, ১১:১৮

৫৫ বছরের শাহজাহান আলী। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি আছেন। তার ১৫ লিটার করে অক্সিজেন চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই অক্সিজেন লেভেল কমে চলে আসে ৭৫ শতাংশে। অন্য রোগীর কাছ থেকে অনেকটা জোর করেই হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা খুলে অক্সিজেন দেওয়া হয় শাহজাহান আলীকে।


দেশে করোনার সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে হাসপাতালগুলোতে সাধারণ বেডই পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া যাচ্ছে না নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)। চিকিৎসকরা বলছেন, আক্রান্ত হয়ে যারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলে যান তাদের বেশিরভাগেরই দরকার হচ্ছে উচ্চমাত্রার অক্সিজেন। এর জন্য দরকার হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার।


করোনাভাইরাস: অক্সিজেন, অক্সিমিটার, নেবুলাইজারের বাজারের কী অবস্থা?


বাংলাদেশে গত কিছুদিন করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কোভিড চিকিৎসার উপকরণের চাহিদা বেড়েছে। চিকিৎসার সুবিধার্থে অনেকেই নিজেদের বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডার, অক্সিমিটার, নেবুলাইজার কিনে রাখছেন।


বিক্রেতারা বলছেন, অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে আর সরবরাহ নিয়ে তৈরি হয়েছে সঙ্কট।
তবে অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে অক্সিজেন কিনে রাখলেও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও সহায়তা ছাড়া অক্সিজেন ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।


এক বছরেও ঠিক হয়নি অক্সিজেন সরবরাহ


করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ব্যাপকহারে বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে সামনে অক্সিজেন সংকট ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। এখনই রোগীদের অক্সিজেনের জন্য এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছোটাছুটি করতে হচ্ছে। অনেকের ৬ হাসপাতাল ঘুরেও মিলছে না অক্সিজেন। এনেসথেসিওলজিস্টরা জানান, একটি হাসপাতালে একদিনে অক্সিজেনের অভাবে ৫ জন মারা গেছেন। ওই হাসপাতালে ১০ জন রোগীর অক্সিজেনের প্রয়োজন ছিল, কিন্তু অক্সিজেন ছিল ৫টি। কোভিডের কারণে সারা পৃথিবীতে একই অবস্থা হলেও বেশকিছু দেশ এই সময়ের মধ্যে চিকিত্সা ব্যবস্থা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।


শরীরে অক্সিজেন কমতে থাকলে


করোনাকালে যে নতুন শব্দগুলোর সঙ্গে মানুষ এবার বেশি করে পরিচিত হলো, তার একটি ‘হাইপোক্সিয়া’। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় হাইপোক্সিয়া বলা হয়। শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সুষ্ঠু কার্যক্রমের জন্য দরকার অক্সিজেন। ফুসফুসের শ্বসনপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে রক্তের লোহিত রক্তকণিকা এই অক্সিজেন বহন করে সারা শরীরে ছড়িয়ে দেয়। আর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিকল হতে শুরু করে। তাই করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই ঘরে ঘরে পালস অক্সিমিটার রাখার প্রবণতা দেখা গেছে। কোভিড-১৯–এর অন্যতম উপসর্গ শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়া। তবে শুধু কোভিড-১৯ নয়, অন্যান্য অসুখেও হাইপোক্সিয়া হতে পারে। এটি কিন্তু কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও