৫ এপ্রিল থেকে বন্ধ থাকবে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী ৫ এপ্রিল থেকে দেশের সব অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ (সিএএবি)।
আজ শনিবার সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মফিদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সরকারের প্রজ্ঞাপনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
লকডাউনে বন্ধ থাকবে যাত্রীবাহী ট্রেন: রেলমন্ত্রী
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সময় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। তবে মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে।
শনিবার বিকেলে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি জানান, লকডাউনে অন্যান্য পরিবহনের মতো যাত্রীবাহী ট্রেনও বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করবে। সন্ধ্যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
করোনার ঝুঁকিতে লঞ্চ-ট্রেনের যাত্রী
করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা সম্প্রতি প্রতিদিনই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। লঞ্চে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ৬০ শতাংশ। ট্রেনেও যাত্রীদের নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করার কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় লঞ্চ ও ট্রেনে মানা হচ্ছে না নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব। যাত্রীদের অনেকেই মুখে ব্যবহার করছেন না মাস্ক। এতে করোনায় সংক্রমণের মাত্রা লাগাম ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন এলাকার লঞ্চঘাট ও রেলস্টেশনের চিত্র।
লকডাউনের ঘোষণা আসার পর রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে মানুষের উপচে-পড়া ভিড় দেখা গেছে। টিকিট কাউন্টারগুলো যাত্রীদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। কোথাও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। এ সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শনিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা আসার পর থেকে নগরীর প্রতিটি বাস কাউন্টারে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। কোনও কোনও কাউন্টারে দেখা গেছে উপচে-পড়া ভিড়। গাবতলি কাউন্টারে মানুষের ভিড় শামাল দিতে পারছেন না কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা।